সন্ধ্যা হলেই বাঙালির ড্রয়িং রুমে শুরু হয় স্টার জলসা ( star jalsha )এবং জি বাংলার( zee bangla)দাপট। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা অব্দি চলে নানান গল্পের ধারাবাহিক। কোন ধারাবাহিক নিজের গল্পে সবথেকে বেশি চমক দিয়ে দর্শকদের নজর কাড়তে পারে সেই নিয়ে চলে টিআরপির( trp ) লড়াই। এখন সব ধারাবাহিকগুলির ভাগ্য নির্ভর করে টিআরপির ওপরেই।
টিআরপির লড়াইতে ভালো ফল করতে না পারলে বন্ধ করে দেয়া হয় ধারাবাহিকগুলি। তবে এ ক্ষেত্রে টার জলসা এবং জি বাংলার মধ্যে খানিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। জি বাংলার কোন ধারাবাহিকের টিআরপি একটানা নিচের দিকে থাকলে সাথে সাথেই বন্ধ করে দেয়া হয় সেই ধারাবাহিকটিকে। কিন্তু স্টার জলসা কিছুটা সময় দেয় টিআরপি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকা ধারাবাহিক গুলিকে।
স্টার জলসায় এই পন্থা অবলম্বন করেই একাধিক ধারাবাহিক যেগুলি টিআরপির লড়াইতে নিচের দিকে ছিল তাদের জায়গা করিয়েছে প্রথম পাঁচে। বঁধুয়া, উড়ান, রোশনাই এর মত ধারাবাহিক গুলি যাদের টিআরপি শুরুর থেকে নিচের দিকে ছিল তারা বর্তমানে টিআরপির লড়াইতে বেশ ভালো ফল করে দেখাচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই টার জলশা এবং জি বাংলার মধ্যে তুলনা টেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন এক সিরিয়ালপ্রেমী।
এক সিরিয়াল প্রেমী সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পোস্টে লিখেছেন, “জি বাংলা সত্যিই একটা লোভী চ্যানেল। তা না হলে হুটহাট সিরিয়ালগুলি শেষ করত না। জি বাংলা কোনও সিরিয়ালকেই সময় দেয় না। কদিন আগে হুট করে যোগমায়া শেষ করে দিল। ০.১ গ্যাপ থাকতে আরও চালানো যেত। এদিকে অষ্টমীকেও টাইম দেয়নি। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এখন আবার ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ কে শেষ করে দিচ্ছে”।
আরও পড়ুন: মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে জল খেয়ে দিন কাটিয়েছেন ইমনের বাবা! কঠোর পরিশ্রম করেছেন গায়িকা নিজে!অভিনেত্রী সাফল্যের কাহিনী জানেন?
ওই সিরিয়ালপ্রেমী পোস্টে আরও লেখেন, ” কোনও টাইম দিচ্ছে না। সাড়ে ছটাৎ না চালালেও রাতের দিকে দিতে পারতো। টাইম দেয় না তাই বেশিরভাগ সিরিয়াল স্লট হারা। কবে না আবার ‘ডাইমন্ড দিদি’, ‘ময়না’ এগুলিকে শেষ করে দেয়। এই দিক দিয়ে জলসা অনেক ভাল। সব সিরিয়ালকেই সময় দেয়। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। যার প্রমাণ বঁধূয়া, তুমি আশেপাশে থাকলে আর উড়ান। রোশনাই,কথা এগুলিকেও টাইম দেওয়ার জন্য আজ এগুলি স্লট লিড। যদি জি বাংলার মতো হঠাৎ শেষ করে দিতো তাহলেই হয়েছে”।