দুর্গাপুজোর অষ্টমী মানেই নিরামিষ খাবার। তাই অষ্টমী মানেই পাত সাজানো লুচি তরকারিতে। কিন্তু অষ্টমীর সকালে লুচি আলুর তরকারি হলেও রাতে কিন্তু মন চায় অন্য কিছু খেতে। হাজার হোক অষ্টমী বলে কথা। এদিন আমিষ রান্না তো খাওয়াই যায় না। তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন নিরামিষ নবরত্ন বিরিয়ানি। কীভাবে বানাবেন? একনজরে দেখে নিন রেসিপি।
কী কী উপকরণ লাগছে?
বাসমতী চাল, কাজুবাদাম, কিসমিস, আমন্ড, আখরোট, পেস্তা, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম, পনির, কেশর ভেজানো দুধ (সামান্য), তেজপাতা, দারচিনি, গোটা গোল মরিচ, বিরিয়ানি মসলা,সাদা তেল, ঘি, পরিমাণ মতো নুন।
নবরত্ন বিরিয়ানি তৈরী করবেন কিভাবে?
প্রথমে কড়াই গরম করে তাতে সাদা তেল দিতে হবে। এরপর কড়াইতে একে একে দিতে থাকুন কাজুবাদাম, আখরোট, আমন্ড, পেস্তা এবং কিসমিস। সবকটি উপকরণ ভালো করে ভেজে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন। এবার একে একে এতে দিয়ে দিন পনির। তারপর ভালো করে ভেজে ঠান্ডা জলে পনির রেখে দিন যাতে সেগুলি যাতে নরম থাকে।
এবার কড়াই গরম করে তাতে মিশিয়ে দিন বেশ খানিকটা ঘি। আর তাতে দিয়ে দিন শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, দারচিনি, গোটা গোল মরিচ ফোড়ন। বেশ কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে এবার দিয়ে দিন কেটে রাখা সমস্ত সবজি। স্বাদমতো নুন এবং মিষ্টি দিতে হবে এরপরে। সব ভাজা হয়ে গেলে প্রেশার কুকারের মধ্যে ভালো করে ঘি মাখিয়ে প্রথমে দিতে হবে ভাত, তারপরে সমস্ত ভেজে রাখা সবজি এবং একদম শেষে দিন পনিরের টুকরো।
পনিরের টুকরো দেওয়ার পর ওপর থেকে দিয়ে দিতে হবে বিরিয়ানি মসলা। এরপর আবার কিছুটা ড্রাই ফ্রুট দিতে হবে, এরপর ভাত এবং তার ওপরে আবার ভেজে রাখা সবজি দিন। একদম শেষে ওপর থেকে বেশ খানিকটা ঘি ছড়িয়ে দিন এবং দুধের মধ্যে গুলে রাখা কেশর দিয়ে দিন। নুন দিতে হবে স্বাদ মতো। এবার প্রেসার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে এটাকে দমে বসিয়ে দিন।
আরও পড়ুনঃ শারদ উৎসবে ভুরিভোজ মাস্ট! আমিষের পাশাপাশি নিরামিষ পদেও জমুক আহার, রইল দুধ পোলাও-এর রেসিপি
এরপর বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর প্রেশার কুকার আরও মিনিট খানেক বন্ধ করে রেখে দিন। সব শেষে প্রেশার কুকার ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। যাতে মশলা ভালো করে মিশে যেতে পারে ভাতের সঙ্গে। আর এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে গরম গরম নবরত্ন বিরিয়ানি। অষ্টমীর দিন পরিবারের সদস্য বা অতিথিদের নবরত্ন বিরিয়ানি পরিবেশন করে দেখুন, সবাই দারুন খুশি হয়ে যাবে।