এসব চিংড়ি আপামর বাঙালীর অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। রোজকার রান্না হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনই নেমন্তন্নেও এঁচোড় চিংড়ির কদর একই রকম রয়ে গেছে। তবে আপনাদের সকলের পছন্দের মিঠাই রানীও চিংড়ি খেতে খুব ভালোবাসে এটা আপনারা জানেন কি?
তাইতো আজ আপনাদের প্রিয় মিঠাই রানীর প্রিয় রেসিপি শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে। এই গরম পড়ার আগে বাজারে ইতিমধ্যে চলে এসেছে এঁচোড়। সেটাকে চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে অসাধারণ সুস্বাদু লাগে এবং গরম ভাত এক প্লেট সাফ হয়ে যায় চটপট। রইল সেই রেসিপি।
উপকরণ: এঁচোড়-৪৫০ গ্রাম
মাঝারি সাইজের চিংড়ি-৬,৮টা (ছোট হলে ১০টা)
আলু-১টা বড় (মাঝারি সাইজে কাটা)
পেঁয়াজ কুচি-১ কাপ
আদা, রসুন বাটা-২ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা কুচি-১ টেবল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো-আন্দাজ মতো
টোম্যাটো কুচি-১ কাপ
হলুদ গুঁড়ো-আধ চা চামচ
তেজপাতা-১টা বড়
গোটা জিরে-আধ চা চামচ
গরম মশলা-আধ চা চামচ
সর্ষের তেল-৪ টেবল চামচ
নুন-স্বাদ মতো
চিনি-স্বাদ মতো
পদ্ধতি: এঁচোড় খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরোয় কেটে নিন৷ ৪ কাপ জল গরম করে নুন ও হলুদ দিয়ে এঁচোড় ভাপিয়ে নিতে হবে। খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে নিন৷ কড়াইতে তেল গরম করে চিংড়ি ও আলু ভেজে আলাদা করে রেখে দিন। এবার ওই তেলেই তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে গোটা জিরে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে আদা, রসুন বাটা দিয়ে ৫ মিনিট নেড়ে হলুদ, কাঁচা লঙ্কা, লাল লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ১ চা চামচ জল দিন৷ এবার টোম্যাটো কুচি দিয়ে চাপা দিয়ে নরম করতে দিতে হবে। টোম্যাটো গলে গিয়ে মশলা তেল ছাড়তে শুরু করলে নুন ও চিনি দেবেন। ভাজা চিংড়ি, আলু, সিদ্ধ এঁচোড় দিয়ে মশলার সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন৷ ৫ মিনিট পর ২ কাপ গরম জল দিয়ে আঁচ একদম কমিয়ে চাপা দিয়ে দিন৷ যখন আলু পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন৷ দুপুরের পাতে দারুণ লাগবে খেতে।