পুজো শেষ হয়ে গেল তবে বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা এখন চলতেই থাকে। কারণ এখন বিজয়ের মাধ্যমে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানোর পালা শুরু হয়েছে। তাই বাড়িতে সবসময়ই মিষ্টি রেডি রাখতে হবে।
তবে এবার অতীতের মিষ্টিমুখ করান হাতে বানানো মিষ্টি দিয়ে। খেয়েও খুশি খাইয়েও খুশি সবাই। আজকে যে রেসিপি আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম এই রেসিপি ভীষণ অসাধারণ এবং খুব কম মানুষের কাছে শুনতে পাবেন এই পদের নাম। তবে এটা একেবারেই সবেকিয়ানার ছোঁয়া। বাংলার হারিয়ে যাওয়া একটা রেসিপি আজ আপনাদের জন্য রইল। এর নাম লুচির পায়েস।
উপকরণ: দুধ : ২ লিটার
খোয়া ক্ষীর : ২৫০ গ্রাম
ময়দা : ২ কাপ
সাদা তেল : লুচি ভাজার মতো
চিনি : ২ কাপ
কাঠবাদাম : ৪ টেবিল চামচ
কাজু : ৪ টেবিল চামচ
কিসমিস : ৪ টেবিল চামচ
পেস্তা : ৪ টেবিল চামচ
ছোট এলাচের গুঁড়ো : ১ চা-চামচ
পদ্ধতি: প্রথমে লুচি তৈরি করার জন্য ময়দা মেখে নেবেন। খোয়া ক্ষীরের মণ্ডটিকে হাত দিয়ে ভেঙে গুঁড়ো করে নেবেন। গুঁড়ো করা খোয়া কড়াইতে নিয়ে, হালকা আঁচে নাড়তে হবে। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে, এর মধ্যে দিন ১ কাপ চিনি, কুচি করে রাখা কাজু, পেস্তা এবং কাঠ বাদাম এবং আধ চা-চামচ এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মেখে রাখা ময়দা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নেবেন। লেচিগুলোকে চেপে বাটির মতো করে, ভিতরে ক্ষীরের পুর ভরে দেবেন। লুচি বেলে নিয়ে, সাদা তেলে ভেজে রাখুন। আরেকটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে ওর মধ্যে দিয়ে দিন ১ কাপ চিনি। চিনি মিশে গেলে, এর মধ্যে ভেজে রাখা ক্ষীরের লুচিগুলো ঢেলে দেবেন। একটু ফুটে এলে উপর থেকে এলাচ গুঁড়ো এবং আরও একটু বাদাম কুচি ছড়িয়ে দেবেন।