সামনেই পুজো আর পুজো মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া চাই। সারাটা জেগে ঠাকুর দেখা আর তার সঙ্গে নিত্য নতুন পদ খাওয়া চলতেই থাকে। অনেকে বাড়িতে থাকতে ভালোবাসে আর সেই সঙ্গে মায়ের হাতের সুন্দর সুন্দর রান্না খাওয়া চাই।
যেহেতু এই সময় অনেকের ছুটি থাকে অফিসের স্কুল কলেজে তাই অনেকেই আত্মীয়দের বাড়ি ঘুরতে যায়। আপনার বাড়িতেও যদি ওই সময় অতিথিদের আসার প্ল্যান থাকে তাহলে আগেভাগে নবমীর ভুরিভোজের আয়োজন করে রাখতে পারেন। এই বিশেষ রেসিপি দারুণ কাজে লাগবে আর সবার মন জিতে নেবে। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এই রান্না আগে কখনো খায়নি কেউ। তাই নবমীর দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে হয়ে যাক মালাবার চিকেন। রইল রেসিপি।
উপকরণ: মুরগির মাংস: ১ কেজি
তেল: আধ কাপ
নারকেল কোরা: ১ কাপ
গোটা ধনে: ২ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা: ৪টি
গোটা গোলমরিচ: ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা: ১ চা চামচ
রসুন বাটা: ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা: ৪টি
কারি পাতা: ১০-১২টি
পেঁয়াজ: ৪টি
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
পাতিলেবু: ১টি
নুন: স্বাদ মতো
পদ্ধতি: কড়াইয়ে অল্প তেল গরম করে একে একে গোটা ধনে, গোটা গোটা গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা হালকা করে ভেজে নেবেন। এ বার নারকেল কোরা দিয়ে ঢিমে আঁচে মিনিট পাঁচেক নাড়াচাড়া করে মশলা দেওয়া নারকেল কোরা নামিয়ে রাখুন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে মিক্সিতে বা শিলে বেটে রাখুন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে কারি পাতা ফোড়ন আর পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা আর রসুন বাটা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে চেরা কাঁচা লঙ্কা, মাংসের টুকরো দিয়ে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন আর পাতিলেবুর রস দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। পিষে রাখা মশলা কড়াইয়ে দিয়ে কষিয়ে ঢাকা দিন। গ্রেভি থেকে তেল বেরোতে শুরু করলে আরও মিনিট পাঁচেক দমে রাখলেই রেডি মালাবার চিকেন। এবার চাই শুধু গরম ভাত।