সপ্তাহ শুরু মানেই নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে হবে এমনটাই মনে করি আমরা। তবে খাওয়া-দাওয়ার পর্বটাও একই রকম থাকে। অনেকের বাড়িতেই রবিবারের বেঁচে যাওয়া মাংস থেকে যায়। যদি ফ্রিজে থেকে যায় পাঁঠার মাংস তাহলে এই রেসিপি আপনার জন্যেই।
পাঁঠার মাংসের পাতলা ঝোল তো অনেক খেয়েছেন কিন্তু রেস্টুরেন্ট স্টাইলে এই দারুণ রেসিপি কখনো ট্রাই করেছেন কি? বানাতে সময় লাগবে অবশ্যই তবে খেতে লাগবে দুর্দান্ত আর দুপুরের বা রাতের খাবার একেবারে জমে যাবে। এই রেসিপিটার সাথে আপনি যেমন গরম গরম ভাত খেতে পারেন তেমনি পরোটা চলতে পারে। একবার ট্রাই করে দেখুন।
উপকরণ: ১. মটন
২. টক দই
৩. পেঁয়াজ কুচি
৪. আদা রসুন ও লঙ্কা বাটা
৫. হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো
৬. জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো
৭. গরম মশলা গুঁড়ো
৮. তেজপাতা
৯. দারুচিনি, লবঙ্গ, ছোট এলাচ, গোটা জিরে,
১০. শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ
১১. পরিমাণ মত নুন
১২. রান্নার জন্য সর্ষের তেল
১৩. সামান্য চিনি
পদ্ধতি: মটন নিয়ে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে সমস্ত মশলা মাখিয়ে এক ঘন্টার জন্য ঢাকা দিয়ে ম্যারিনেট করতে হবে। ফ্রাইং প্যানে দারুচিনি, লবঙ্গ, ছোট এলাচ, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ নিয়ে শুকনো অবস্থাতেই কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। তারপর সমস্ত মশলাটাকে মিক্সিতে গুঁড়ো করুন। একটা বড় বাটিতে আধকাপ মত দই নিয়ে গুঁড়োনো মশলা দিয়ে আর সামান্য জল দিয়ে সবটাকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট মত ঢাকা দিয়ে রাখুন। কড়ায় কিছুটা সর্ষের তেল দিয়ে গরম করে তেজপাতা আর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে শুরু করুন। লালচে রং হয়ে গেলে সামান্য চিনি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে পরিমাণ মত আদা, রসুন ও লঙ্কা বাটা দিয়ে হলুদ গুঁড়ো আর কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে কষাতে হবে। ম্যারিনেট হওয়া মটন কড়ায় দিয়ে ১০ মিনিট মত কষিয়ে নিন। তেল ছাড়তে শুরু করলে ধাপে ধাপে কয়েকবার জল দিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে কড়ায় দই ও মশলার মিক্স দিয়ে সবটাকে মিশিয়ে রান্না করুন। কয়েকটা চেরা কাঁচা লঙ্কা, সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করে নিলেই রেডি।