বিরিয়ানি, নামটা শুনলেই আমাদের পেটে খিদে মুখে জল চলে আসে। মাংস আলু ডিম আর ঝরঝরে ভাতের মশালাদার মিশ্রণ মানুষকে সেই কবে থেকে বুঁদ করে রেখেছে। রাস্তার ধারের দোকান হোক কিংবা বড় রেস্টুরেন্ট, বিরিয়ানি মানুষের সব জায়গারই প্রিয়।
সাধারণত বিরিয়ানি আপনারা কত টাকায় পেয়ে থাকেন? রাস্তার ধারে দোকানে মোটামুটি 90 থেকে 120 টাকা। বড় বড় রেস্টুরেন্টে আড়াইশো থেকে 300।দমদম স্টেশনের কাছে একটি জায়গায় 49 টাকায় চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায়।আমি যদি বলি আপনাকে মাত্র 10 টাকায় চিকেন বিরিয়ানি দেব তাও আবার এই রাজ্যে তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করবেন?
আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে কারণ বাস্তবে এরকমটাই হচ্ছে।পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে বিক্রি হচ্ছে 10 টাকার বিরিয়ানি। শুধু তাই নয় ওই স্টলে বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকার পাস্তা, পাঁচ টাকার চাউমিন। দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়।
কাটোয়া শহরের পানুহাটের বাসিন্দা শ্যামল দেবনাথ ঘুরে ঘুরে রাস্তার ধারে খাবার বিক্রি করেন। ঠেলাগাড়িতে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরি করে তিনি বিক্রি করেন। এরমধ্যে দিনের দু’ঘণ্টা সময় তিনি দেন পানুহাটের রাজমহিষী উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সামনে। কিছুদিন ধরেই তিনি বিরিয়ানির হাঁড়ি নিয়ে আসছেন। সেখানে বিরিয়ানির হাঁড়ি নিয়ে আসা মাত্রই দশ টাকার বিরিয়ানী নিমেষের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
কী করে এত কম দামে বিরিয়ানি দিচ্ছেন? উত্তরে তিনি জানান, “অল্প দামে বিরিয়ানি বিক্রি করছি। তাই প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। কেউ ২০ টাকা বা ৫০ টাকা প্লেট বিরিয়ানি চাইলেও পাবেন। তবে পড়ুয়াদের দিকটা মাথায় রেখেই ১০ টাকার বিরিয়ানি চালু করেছি।”
বিরিয়ানির সঙ্গে থাকছে অল্প একটু স্যালাড।এছাড়াও থাকছে 5 টাকা দামের পাস্তা এবং 5 টাকা দামের চাউমিন। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীরা ভীষণ খুশি। যদিও নেটিজেনরা অনেকে এই কথা জানতে পেরে খাবারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তবে শ্যামল বাবু বলছেন যে উনি খাবারের গুণমানের সঙ্গে কোনো আপস করেননি।