বাঙালি মাছ প্রিয় হলেও এমন কিছু রান্না আছে যা নিরামিষ কিন্তু সহজেই টেক্কা দিতে পারে যে কোনো আমিষ পদকে। অনেকেই ভাবেন নিরামিষ রান্না অতটা জমে না। একেবারেই ভুল ধারণা।
কাল উল্টোরথ গেছে। এইদিনে অনেক পরিবারই নিরামিষ রান্নার চল রয়েছে। কারণ কারুর কারুর বাড়ি পুজো হয় তাই নিরামিষ রান্না হবেই। আবার কারুর কারুর মেলায় যাওয়ার তাড়াহুড়ো থাকে সন্ধের দিকে। এদিকে অতিথিও আসবে বাড়িতে। সেক্ষেত্রে দুপুরের দিকে চটজলদি কোনো পদ রান্না করাটাই শ্রেয়। তাই আজ এমন এক রেসিপি রইলো যা সচরাচর শোনা যায় না। গােবিন্দভােগ চাল দিয়ে মােচার পােলাও আগে খেয়েছেন? চিন্তা নেই, রান্নার সবকিছু দেওয়া রয়েছে আপনাদের জন্যে ।
উপকরণ: গােবিন্দভােগ চাল ১৫০ গ্রাম, মােচা ১ টি মাঝারি সাইজের, তেজপাতা ২ টি, মটর ডাল ৫০ গ্রাম, ধনে গুঁড়াে ১ চা চামচ, জিরে গুঁড়াে ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, টমেটো মাঝারি সাইজের (টুকরাে করে কাটা), গােটা গরম মশলা, কাজু ১০ টি, কিসমিস ১০ টি, সামান্য গােটা জিরে, সরষের তেল ২০ গ্রাম, হলুদ ১ চা চামচ, নুন স্বাদনুযায়ী, চিনি ৪ চা চামচ, ঘি ২ টেবল চামচ, ভাজা মশলা ২ চা চামচ।
পদ্ধতি: মােচা কেটে সেদ্ধ করে জল ঝড়িয়ে রাখুন। চাল ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নেবেন। মটর ডাল বেটে ছােট ছােট বড়ার আকারে ভেজে নেবেন। কড়াইতে তেল গরম করে জিরে, তেলপাতা ও গােটা গরম মশলা ফোড়ন দিন।
তাতে একে একে টমেটো, আদাবাটা সহ বাকি সব মশলা দিয়ে কষতে হবে এবার। নুন ও চিনিও মিশিয়ে দিন। মশলা কষতে কষতে সেদ্ধ করে রাখা মােচা দিয়ে ভাল করে নাড়া করে জল ঢেলে দিন। ৪ মিনিট পর চাল আর বড়া গুলােও দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দমে রান্না করতে হবে। চাল জল শুষে ঝুরঝুরে হয়ে এলে ঘি আর গরম মশলা ছড়িয়ে দেবেন। ব্যাস রেডি পোলাও। এবার সঙ্গে যে কোনো নিরামিষ সবজি বা চাটনি দিয়েই খেতে নিতে পারেন।