আজকালকার যুগে আমাদের প্রত্যেকের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রত্যেকের জীবনে দিনের পর দিন মানসিক চাপ বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শারীরিক অসুস্থতা। ফলে একটু বয়স হতে না হতেই তার প্রভাব পড়ছে শরীরে।
তাই এখন ছোট থেকেই বাচ্চাদের সুস্থ থাকা শেখানো হয়। নিয়ম মেনে সুস্থ থাকতে গেলে শরীরচর্চা এবং ডায়েট একেবারে করতেই হবে। তেমনই করা স্বাস্থ্য বিধির মধ্যে থেকে এই তরুণী ঝরিয়ে ফেলেছিলেন রীতিমতো ২০০ কেজির থেকে বেশি ওজন। এটা সত্যি প্রত্যেকের কাছে একটা দৃষ্টান্ত হতে পারে।
আমেরিকার মিসিসিপির বাসিন্দা ক্রিস্টিনা ফিলিপসের যখন বাইশ বছর বয়স, তখন তাঁর ওজন সাতশো পাউন্ড অর্থাৎ তিনশো সতেরো কিলোগ্রামের বেশি। পড়েই বুঝতে পারছেন এটা একেবারেই অস্বাভাবিক। বিপুল ওজনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাঁটাচলা। দেখা দেয় প্রাণসংশয়ও। তখন থেকেই শুরু হলো তার আসল লড়াই।
যুদ্ধ শেষে এখন তিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিরাশি কিলোগ্রামে। কেমন করে সম্ভব সেটা? নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন সে কথা।
খুব ছোট থেকেই অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেতেন তিনি। মা-বাবাও কোনও দিন ‘ফাস্ট ফুড’, ভাজাভুজি খেতে আটকানো, বারণ কিছু করেননি। তার ফল হল অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি। ক্রিস্টিনা ওজন কমানোর জন্য এতটাই মরিয়া হয়ে ওঠেন যে, অস্ত্রোপচারের রাস্তা বেছে নেন। গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি হয়।
নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া করা শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি ছিল নিয়ম করে শরীর চর্চা। স্বামী এটাতে বিন্দুমাত্র সাহায্য করতেন না তাকে আর সেই কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ করে নেন তরুণী। টানা দশ বছর পরিশ্রম করে দুশো চৌত্রিশ কিলোগ্রাম ওজন কমিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুললেন। তবে ওজন কমলেও ত্বকের সমস্যা রয়ে গিয়েছে শরীরে। তাই এ বার সেই সমস্যা ঠিক করতে আর এক বার অস্ত্রোপচার দরকার।