ভারতবর্ষে ইংরেজদের শাসন চালিয়েছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। ঠিক সেই দুশো বছর পর সেই সহ্যের সীমা লংঘন হতেই আন্দোলন শুরু করে ভারতবাসীরা। সেই সময়ে যেসব বিপ্লবী পুরুষ এবং নারীরা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন রানী রাসমণি। রাণীমার নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
রানী রাসমনির তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ব্রিটিশদের পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য করেছিল। পাশাপাশি আবার রানীমা ছিলেন মমতাময়ী। ১৭৯৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাসমণি। খুব কম বয়সে বিয়ে হয় রাজচন্দ্রের সঙ্গে।
অন্যদিকে রানিমা যত বড় হতে থাকে ততই তাঁর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দেখে অবাক হয়ে যান তাঁর স্বামী। শেষ পর্যন্ত রাণীমাকে ব্যবসার কাজে নিযুক্ত করেন রাজচন্দ্র। তবে দুর্ভাগ্যবশত খুবই অল্প বয়সে বিধবা হতে হয় রাসমণিকে।
১৮৪০ সালে ব্রিটিশরা এক নতুন নিয়ম চালু করে। যে নিয়ম অনুযায়ী জেলেরা হুগলি নদীতে মাছ ধরতে আসলে তাদের প্রত্যেককে কর দিতে হবে।
তবে যে জেলেদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের পক্ষে বাড়তি কর দেওয়া সত্যিই অসুবিধাজনক ছিল। রানীমার কানে এই খবর যাওয়ামাত্রই তিনি উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়ে হাজির হন ব্রিটিশদের সামনে।
রাণীমার চাপে পড়ে ব্রিটিশদের মুখ বন্ধ করতে হয়। পরে আবার ব্রিটিশরা স্টিমার আসা যাওয়া নিয়ে অভিযোগ করে রানীমার কাছে। তবে রাণীমা ঠিকভাবে তাদেরকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। এরপরে আর রাণীমার কোন ক্ষতি করতে পারেনি ব্রিটিশরা।