জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ক্যান্সারে মায়ের মৃত্যুও হারাতে পারেনি তাঁকে! কোটি টাকার স্বপ্ন, ফুটপাথে লড়ছে ১৫ বছরের দেবরাজ! অরিজিৎ-ই অনুপ্রেরণা, সুরের জাদুতে কঠিন বাস্তবতাকে হার মানাচ্ছে সে!

কলকাতার ব্যস্ততম পার্কস্ট্রিটে (Park Street) হাঁটতে হাঁটতে আচমকাই থমকে যান অনেক পথচারি। কারণ, রাস্তার ধারে এক কিশোর গিটারের তারে বাঁধছে গান, স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি। পাশে একটি ছোট ব্যাগ, এক বোতল জল, আর একটা বোর্ডে বড় করে লেখা— “সাপোর্ট মি” (Support Me)। নাম তার দেবরাজ ভট্টাচার্য, বয়স মাত্র ১৫। সকালের পড়াশোনার পর বিকেলে এইভাবেই গানের সাধনা চালিয়ে যায় সে, ফুটপাতকেই মঞ্চ করে।

দেবরাজ এখন ওপেন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তবে তার চোখে যেন ধরা পড়ে ভবিষ্যতের একটি ব্যতিক্রমী স্বপ্ন! গানের টানে সে পৌঁছে যেতে চায় আমেরিকার ‘বার্কলে কলেজ অফ মিউজিক’ (Berklee College of Music)-এ। যার খরচ প্রায় কোটি টাকার মতো! এত বিশাল স্বপ্ন যেন কোনও কিশোরের কল্পনার বাইরে হলেও দেবরাজ জানে, থেমে যাওয়া চলবে না। কারণ সে স্বপ্ন দেখেছে, এবং সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই চায়— সবার সাহায্য ও নিজের কঠোর পরিশ্রমে।

তবে এমন জীবন সবসময় ছিল না দেবরাজের। একসময় সোনার চামচ মুখে দিয়েই জন্মেছিল সে, বাবা ছিলেন মুম্বাইয়ের একটি নামী সংস্থার কর্মচারী। কিন্তু ছোটবেলায় মায়ের ক্যান্সারে মৃত্যু যেন ওলটপালট করে দেয় গোটা পরিবার। তখন দেবরাজের বয়স ছিল মাত্র আড়াই বছর। মায়ের মৃত্যুর ধাক্কা সইতে না পেরে বাবাও ছেড়ে দেন চাকরি। এরপর মুম্বাই ছেড়ে ফিরে আসেন খড়্গপুরে। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন টেকেনি পরিবার।

করোনা পরবর্তী সময়ে পরিবারিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে অবশেষে বেরিয়ে পড়েন বাবা ও ছেলে। বর্তমানে সপ্তাহের চারদিন রেলের একটি ফ্যাসিলিটিতে থাকেন দেবরাজ ও তাঁর বাবা, বাকি দিনগুলো কাটে বোলপুরে, যেখানে দেবরাজ সংগীতের পাঠ নিচ্ছে। জীবন সংগ্রামের মাঝেই প্রতিদিন নতুন করে গান শেখে সে, গিটারের প্রতিটি তার যেন জানে ছেলেটার জেদ, কষ্ট আর সপক্ষে লড়ে যাওয়ার গল্প।

আর পড়ুনঃ হঠাৎ গল্প থেকে গায়েব ‘ধ্রুব’! ‘মিত্তির বাড়ি’ ছাড়ছেন আদৃত রায়? বদলে যাবে নায়কের মুখ? তীব্র জল্পনা টলিপাড়ায়

দেবরাজ স্বপ্ন দেখে অরিজিৎ সিং-এর মতো হওয়ার। তার কথায়, “আমি এমন জায়গায় যেতে চাই, যেখানে পৌঁছতে কেউ প্রতিযোগিতাও করতে পারবে না। থামলে চলবে না, সামনে এগোতেই হবে।” এই অদম্য কিশোরের স্বপ্ন বাস্তব করার পথে যদি কেউ পাশে দাঁড়াতে চান, পাঠকদের জন্য রইল যোগাযোগ নম্বর: 9038417254। হয়তো আজ আপনার একটা সহানুভূতির হাত আগামীর ‘অরিজিৎ সিং’ তৈরি করতে পারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।