জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“দিতিপ্রিয়া ছিল বলেই টিআরপি ছিল, এখন বুঝছি ও কী ম্যাজিক দেখাত”—তাহলে কি শিরিনের উপস্থিতিতেও ‘অপর্ণা’ হিসেবে কাটছে না দিতিপ্রিয়ার অভাব? একের পর এক বিয়ের জাঁকজমক সত্ত্বেও ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ কেন নামছে টিআরপি গ্রাফ, কোথায় আটকে যাচ্ছে দর্শকের টান?

টেলিভিশনের ধারাবাহিক মানেই আবেগ, অভ্যাস আর প্রতিদিনের অপেক্ষা। দিনের শেষে দর্শক পর্দার সামনে বসে শুধু গল্পই দেখেন না, চরিত্রগুলোকেও নিজের জীবনের অংশ করে নেন। সেই কারণেই কোনও ধারাবাহিকে হঠাৎ বড় কোনও মোড় এলে—বিয়ে, বিচ্ছেদ বা ট্র্যাজেডি—তা নিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে। সম্প্রতি ঠিক তেমনই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। পর্দায় একের পর এক বিয়ের অনুষ্ঠান, জাঁকজমক, আচার-অনুষ্ঠান—সবই রয়েছে। তবুও প্রশ্ন উঠছে, এত কিছুর পরেও দর্শকের আগ্রহ কি আগের মতো আছে?

চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। প্রত্যাশার তুলনায় ভালো ফল করতে পারেনি এই ধারাবাহিক। এমনকি প্রথম পাঁচে জায়গা না পাওয়ায় হতাশ টেলিপাড়া

। এখান থেকেই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা। দর্শকের একাংশ মনে করছেন, গল্পে এত বড় আয়োজন থাকা সত্ত্বেও যদি রেটিং না বাড়ে, তাহলে নিশ্চয়ই কোথাও একটা ঘাটতি রয়েছে। আর সেই ঘাটতির জায়গা নিয়েই তৈরি হয়েছে একাধিক মতভেদ।

নেটপাড়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে নানা পোস্ট, নানা তুলনা। অনেকেই দিতিপ্রিয়ার পুরনো ছবি শেয়ার করে বর্তমান চরিত্র শিরিনের সঙ্গে তুলনা টানছেন। কারও বক্তব্য, “দিতিপ্রিয়া ছিল বলেই ধারাবাহিকের টিআরপি ছিল।” আবার কেউ লিখছেন, “এখন বুঝতে পারছি, দিতিপ্রিয়া কী ম্যাজিক দেখাত।” এই মন্তব্যগুলো থেকেই স্পষ্ট, দর্শকের একটা বড় অংশ এখনও প্রাক্তন মুখটিকেই মনের ভিতরে ধরে রেখেছেন। ফলে নতুন গল্প বা নতুন চরিত্র সেই জায়গাটা পূরণ করতে পারছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অন্যদিকে, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত কৌশলও সামনে আসছে এই আলোচনায়। টিআরপি টানতে বিয়ের দৃশ্য দেখানো নতুন কিছু নয়। বিয়ে মানেই নতুন অধ্যায়, নতুন আবেগ, নতুন টানাপড়েন। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ক্ষেত্রেও অপর্ণা ও আর্যর বিয়ে ঘিরে বহুবার পরিকল্পনা হয়েছে, বারবার তা ভেস্তে গেছে। একটা সময় দর্শক সত্যিই মুখিয়ে ছিলেন এই বিয়ের জন্য। কিন্তু যখন শেষ পর্যন্ত সেই বিয়ে পর্দায় এল, তখনই শোনা গেল প্রশ্ন—এই কি সেই প্রত্যাশিত উত্তেজনা?

সব মিলিয়ে দর্শক আজ দ্বিধাবিভক্ত। কেউ মনে করছেন, বারবার বিয়ের প্রসঙ্গ এনে গল্পকে টেনে নেওয়াতেই আগ্রহ কমছে। আবার কারও মতে, আসল সমস্যা গল্পের গতিতে, যেখানে নতুনত্বের অভাব ধরা পড়ছে। আরেক পক্ষের বিশ্বাস, দিতিপ্রিয়ার শূন্যতা এখনও পূরণ হয়নি বলেই দর্শক পুরোপুরি যুক্ত হতে পারছেন না। তাহলে কি সত্যিই শুধু বিয়ে দেখালেই টিআরপি বাড়ে? নাকি আজকের দর্শক আরও গভীর গল্প, শক্তিশালী চিত্রনাট্য আর বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় খুঁজছেন? উত্তরটা হয়তো সময়ই দেবে, কিন্তু আপাতত এই প্রশ্নেই ঘুরপাক খাচ্ছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ভবিষ্যৎ।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page