এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির কথা এলেই প্রথমে উঠে আসে রঙের কথা। কেউ সবুজ কেউ গেরুয়া কেউ লাল। সেই সঙ্গে আবার সবুজের সাথে সাথে নীল সাদা কেউ একটা রাজনৈতিক দলের চিহ্ন হিসাবে ধরে নেন অনেকে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রং নিয়ে নানা রকম রাজনৈতিক মন্তব্য করে থাকেন। কিন্তু এবার এই রং নিয়েই এমন ঘটনা ঘটলো যা দেখলে তো প্রথমে আপনি চমকে যাবেন পরে অবশ্য মজাই পাবেন।
প্রসঙ্গত গত এক মাস ধরে বাঙালি তথা গোটা বিশ্ব মোজে ছিল ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে। নিজের দেশ অর্থাৎ ভারত বর্ষ বিশ্বকাপের সেই পর্যায়ে না পৌঁছাতে পারলেও নিজের প্রিয় খেলোয়ার বা সেই খেলোয়াড়ের দেশকে সাপোর্ট করতে ভোলেন না বাঙালিরা। এই কদিন পশ্চিমবঙ্গকে দেখলে মনে হবে রীতিমতো ফুটবল জ্বরে কাবু হয়ে গিয়েছিল।
সেটা আরও বেশি বাড়াবাড়ি হয় যখন অনেক কিংবদন্তি ফুটবলাররা সেমিফাইনাল থেকে এলিমিনেট হয়ে গেল কিন্তু শেষে সকলের প্রিয় মেসি ফাইনালে ওঠে অর্থাৎ আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠে। বাঙালি প্রায় দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল একদল সাপোর্ট করছিল মেসির আর্জেন্টিনাকে আর এক দল সাপোর্ট করছিল এমবাপের ফ্রান্সকে। সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা প্রত্যেকেই এই হুজুকে মেতে ছিলেন।
আর সেই হুজুর শেষ হয় গত রবিবার অর্থাৎ ১৮ই ডিসেম্বরের রাতে। একেবারে অবিশ্বাস্য একটা ম্যাচ দেখতে পায় গোটা বিশ্ব ২০২২ এর ফিফা বিশ্বকাপে। যেখানে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে বিজয়ী হয় এবং মেসির মাথায় ওঠে নতুন পালক। আর সেই মাঝরাতে রীতিমতো আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে মেসির ভক্তরা। যেটা খুবই স্বাভাবিক। এত বছর ধরে মেসি এবং তার ভক্তরা একটা বিশ্বকাপের আশা করেছিল যা এবারে পূর্ণ হয়েছে।
আর সেই আনন্দে মেতে ছিল পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ। যাকে কট্ঠর বামপন্থী হিসাবে চেনে পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা। কিন্তু এদিন তাকে পড়তে দেখা গেছিল নীল সাদা জার্সি। তারপরেই তার এই ছবি রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই মজা করে লিখেছে মেসি সত্যিই ভগবান ছেলেটাকে নীল সাদা পরিয়ে ছাড়লো।
এই মন্তব্যের একটা কারণ রয়েছে। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একটি চিহ্ন হয়ে গেছে নীল সাদা রং। আর সেই দলের একেবারে বিরোধী হয়ে নীল সাদা পড়েছেন শতরূপ ঘোষ যা দেখে অনেকেই ব্যঙ্গ করছেন। কিন্তু আসলে তিনি পড়েছেন আর্জেন্টিনার জার্সি। এটা নীল এবং সাদা রঙের।