শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত হয় পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকার পাহাড়। ঠিক তার পরেই জেলের অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন পার্থ এবং বান্ধবী অর্পিতা।
একদিকে ইডির তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক রাঘব বোয়ালের নাম। অন্যদিকে হাইকোর্টে একের পর এক বিস্ফোরক রায় পেশ করে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তো এর মাঝে একটা প্রশ্ন এড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেটা হল পার্থ চ্যাটার্জির বান্ধবী অর্পিতার বাড়িতে কাড়িকাড়ি টাকা এলো কোথা থেকে? কে রেখেছিল?
এবার সেই নিয়ে মুখ খুলেছে গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর,অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার একাংশের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বেসরকারি শিক্ষন কলেজের। যদিও এখনো তদন্ত চলছে। ইডির দাবি, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই ওই টাকা রেখেছিলেন অর্পিতার ফ্ল্যাটে। আর এই কথাটি অর্পিতা নাকি জেরায় স্বীকার করে ফেলেছেন।
এর উৎসের জট খুলতে গিয়ে খোঁজ মিলেছে বেসরকারি শিক্ষন কলেজের সঙ্গে এই টাকার সম্পর্ক। এখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক মহিলা অফিসারের যোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। ২০১৮ থেকে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে অব্দি টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ওই মহিলা অফিসারের হাত রয়েছে বলে খবর। তবে ইডি কোন তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি।
ইডি কিছু নথির খোঁজ পেয়েছে। ইতিমধ্যে জেরা করা হয়েছে অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকেও। শিক্ষা দফতরের অন্দরে দুর্নীতির এই চক্রের সন্ধান মিলে থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।