বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পরিচিত অভিনেত্রী হলেন পল্লবী শর্মা। যাকে এই মুহূর্তে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’তে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখছে দর্শক। এর আগে তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল স্টার জলসার ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিক থেকেই তিনি জনপ্রিয়তা পান দারুন পরিমাণে। টিভির পর্দায় জবা নাম বলতেই লোকের সামনে যার মুখটা ভেসে আসতো সেটা হল পল্লবী।
কিন্তু সেই ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর তাকে গোটা দু বছর আর পর্দায় দেখতে পাওয়া যায়নি। আবার দু’বছর পর জি বাংলার এই নতুন ধারাবাহিকে অভিনেতা রুবেল দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। এবং এই ধারাবাহিক আসার পরপরই দারুন ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে । তবে পল্লবীর জীবনের যাত্রাটা একদমই সোজা ছিল না। জীবনের এতগুলো বছর কিভাবে নিজেকে সামলেছেন তিনি সম্প্রতি সেই কথাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎকারে বসে ছিলেন। আর সেখানেই তিনি তার সব রকম জীবনের চরাই উতরায়ের গল্প করেন। অভিনেত্রী এদিন জানান এই লম্বা বিরতিটা তার জন্য প্রয়োজন ছিল। কারণ একবার কাজ শুরু করলে নিজের জন্য সময় পাওয়া যায় না। তাই এই দুই বছর নিজেকে তিনি সময় দিয়েছেন। তবে ‘কে আপন কে পর’ থেকে তিনি জনপ্রিয়তা পেলেও তার অভিনয় জীবন শুরু কিন্তু ‘নদের নিমাই’ বলে একটি সিরিয়াল থেকে।
পল্লবী এদিন বলেন, ‘তখন আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। ২০১৩ সালে আমি মাধ্যমিক দিই। তার পর কলেজে পড়ার সময় ‘কে আপন কে পর’ সিরিয়াল শুরু হয়। এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল বিরতিটা খুব জরুরি। দর্শকের ‘জবা’ চরিত্রটা ভুলে যাওয়া প্রয়োজন।’ সে সঙ্গে তার ছোটবেলাটা কেমন কেটেছে! এই নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি তখন দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তখন মা-কে হারাই। ব্রেন টিউমর হয়েছিল। বাবা ব্যবসার কাজে বাইরে থাকতেন। তাই পিসির বাড়িতেই আমি থাকতাম। আর যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি মাধ্যমিক পরীক্ষার ঠিক আগের দিন বাবা মারা যান। দেখতাম, সবার মা-বাবা পরীক্ষার সময় ডাবের জল খাওয়াচ্ছে, খাবার খাওয়াচ্ছে। আমি তখন হবিষ্যি খেতাম। সে এক অদ্ভুত সময় গিয়েছে।’
তবে এতকিছুর মধ্যেও অভিনেত্রী জানান তিনি এখন ভালো আছেন। তার জীবনের একমাত্র সঙ্গী পিসি মা ও কয়েক বছর আগে গত হয়েছেন। তবে এখন নিজের পায়ের নিচের জমি তিনি শক্ত করেছেন। পল্লবীর জীবনে প্রেম নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি খুব সহজে প্রেমে পড়ি না। আগে প্রেমে পড়েছি। কিন্তু সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। এখন আমি জীবনে শান্তি চাই। এমন এক জনকে চাই যাঁর মধ্যে নিজের বাবাকে খুঁজে পাব।’