বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সর্বশেষ আইকনিক বা কিংবদন্তি ভিলেন বলা হয় অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে(Biplab Chatterjee)। গালে কাটা দাগ তাঁর ট্রেডমার্ক। আদ্যন্ত বামপন্থী মানসিকতার এই মানুষটি বাস্তব জীবনে অত্যন্ত ঠোঁট কাটা, স্পষ্টবক্তআ, আদর্শবাদী, একজন মানুষ । নেগেটিভ চরিত্রে তাঁর অভিনয় এতটাই সাবলীল ছিল যে, তাঁকে নাকি রাস্তায় দেখলেও ভয় পেতেন সাধারণ মানুষ।
অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী বা প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়রা হলেন ঘোষিত বামপন্থী। বাম শাসনকালে সিপিএমের সঙ্গে এঁদের ঘনিষ্ঠতা ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্য অভিনেতারা দূরে থেকে সমর্থন জোগালেও সেই অর্থে সক্রিয় রাজনীতি করতেন না। তবে বিপ্লব বাবুকে সক্রিয় রাজনীতিতেও দেখা গিয়েছে। এমনকি লড়েছেন বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিএমের টিকিটে।
সত্যজিৎ রায় ‘প্রতিদ্বন্দী’ ছবি দিয়ে প্রথম সিনেমায় আসেন এই কিংবদন্তি ভিলেন! টেলিভিশন, সিনেমার পাশাপাশি চুটিয়ে করেছেন নাটকও। ‘শকুনির পাশা” তাঁর করা লেজেন্ডারি নাটক । এছাড়া অনেক ছবিই পরিচালনা করেছেন তিনি। যেমন, ‘ প্রজাপতি ’ , ‘অভিমন্যু , ‘বিদ্রোহিনী’, ‘চোর ও ভগবান ’ এগুলি তাঁর নির্দেশনায় তৈরি ছবি।
উল্লেখ্য, স্পষ্ট কথা ভীষণই স্পষ্ট ভাবে বলেন তিনি। আর যা জন্ম দেয় বিতর্কের। কখনও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে গুলি করে মারা, বা কখনও আবির চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষার অভাব রয়েছে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। আর এবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি হিপোক্রিট বলে অপমান করে বসলেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীকে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কর্মজগৎকে বিদায় জানিয়েছেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপ্লব বাবুকে প্রশ্নকর্তা প্রশ্ন করতেই তিনি বলে ওঠেন ও একটা হিপোক্রিট। এক এক জায়গায় এক এক রকম, পাল্টিবাজ, এমনকী তিনি বলেন ‘ওঁ যন্তর জিনিস একটা।’ এমনকী এই প্রসঙ্গে দুটি ঘটনার উল্লেখও করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে তিনি ফেলুদা বলে মনে করেন না।