জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

স্টেজের উপর গান গাইছে কৌশানী আর উদ্দাম নাচছে বয়স্ক কাকু! ‘এই গানে এই নাচ আর পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন যতই দেখছি ততই কান্না পাচ্ছে!’ ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু খিল্লি

সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু সময় ট্রোলড হতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীদের। বিশেষ করে ধারাবাহিকের তারকাদের বেশি ট্রোল হতে দেখা যায়। এছাড়াও কেউ খোলামেলা পোশাক পরে ট্রোল হয়, আবার কেউ নিজস্ব বডির জন্য। তবে এসবই একজন মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তবে একজন অভিনেত্রী হয়ে যদি জোর জবস্তি মানুষের ভালোবাসা পেতে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়েন, তাহলে সেটা নিজের অপমান সাথে পেশাটিরও।

বর্তমানে বহু তারকা মাচা অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বেফাঁস কথা বলে, গান-নাচ করে বিপাকে পড়েন। মাঝেমধ্যেই এখন বহু অভিনেত্রীকেই এদিক ওদিক মাচা শো করতে দেখা যায়। আর এই শো করতে গিয়েই বেসুরা গলায় গান গেয়ে ট্রোলের মুখে পড়েন একের পর এক অভিনেত্রী। তবুও গান তাদের থামে না। সম্প্রতি আরও এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী এরূপ একটি ট্রোলের শিকার হলেন।

যিনি হলেন চলচিত্র অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জী। যিনি বনি সেনগুপ্তের হবু স্ত্রী। দীর্ঘ আট বছর সম্পর্কের পর সাত পাকে বাঁধা পড়তে যাচ্ছেন। ২০১৫ সাল থেকে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত কৌশানি। রাজ্ চক্রবর্তীর পরিচালনায় একটি ছবি করে তিনি প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে কৌশানী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে কাজ করেন বনি সেনগুপ্ত।

আর তারপরই তাদের সম্পর্কের শুরু। বর্তমানে তিনি বেশকিছু মাচা শোও করেন। সম্প্রতি তাঁর করা একটি মাচা শো-এর ভিডিও সামনে আসতেই নেটিজেনদের ট্রোল উপচে পড়ে। দেখা যায়, একটি মাচা শো-এ বেসুরা গান গাইছেন কৌশানী। ‘ Yaar Naa Miley ‘ গানের সাথে নাচও হচ্ছে চমকদার। হাসির বিষয় স্টেজে উঠে কৌশানীর সঙ্গে নাচে একজন বয়স্ক লোক। তার নাচের ছিড়ি দেখে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে দর্শক।

এরূপ বেসুরা গান আর বিতিবিচ্ছিরি নাচ দেখে অনেকে আবার রেগেও গিয়েছেন। বলছেন, ‘এই গানের সঙ্গে এই নাচ আর পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন যতই দেখছি ততই কান্না পাচ্ছে’। আবার কেউ খিল্লি করে বলেছেন, ‘গানটা শুনে চোখে জল এসে গেল’। আরেকজন বলেন, ‘আজকাল সিনেমা কপালে জুটছে নাহ তাই এইসব করেই খেতে হচ্ছে’। আরো একজন বলেন, ‘বেসুরো গলার বেখাপ্পা গানের চেয়ে অসুন্দর জিনিস কম আছে পৃথিবীতে’।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।

                 

You cannot copy content of this page