আবৃত্তি, সিনেমা, ধারাবাহিক, অভিনয় সবকিছুকে ভালোবেসে বালুরঘাটের একটি মেয়ে কলকাতার থিয়েটার জগতে পা রাখেন। অল্প সময়েই নিজের অভিনয় তিনি মুগ্ধ করেন দর্শকদের। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে স্কলারশিপও পান তিনি। অভিনয়কে ভালোবাসলেও অবহেলা করেননি পড়াশোনাকে। যাদবপুর থেকে সংস্কৃতে এম এ পাশ করার পর বি এড করেন এই অভিনেত্রী।
তবে অভিনয়টাকেই মন দিয়ে ভালোবেসেছিলেন তিনি। আর তাই পড়াশোনার জন্য বালুরঘাট থেকে কলকাতায় পা রাখলেও অভিনয়কেই আপন করে নিয়েছিলেন তিনি। বেছে নেন পেশা হিসেবে। জননী ধারাবাহিকের হাত ধরে বাংলা ধারাবাহিকের দুনিয়ায় ডেবিউ করেছিলেন এই অভিনেত্রী।
এরপর বিভিন্ন সব ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর ধারাবাহিকে অভিনয়ের সংখ্যা অসংখ্য। মা-শাশুড়ির চরিত্র ছাড়াও অনেক জটিল গভীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রীতা দত্ত চক্রবর্তী।কুসুমদোলা, অন্দরমহল,
গাছ কৌটো, মা, দেশের মাটি, ধূলোকণা সহ বিভিন্ন সব ধারাবাহিকে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন এই অভিনেত্রী। তাঁর চরিত্রে নাটক, থিয়েটার এবং কিছু ফিল্মে তাকে দেখা গিয়েছে।রয়েছে এক অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব, আভিজাত্য। যা তাঁকে অন্যান্য অভিনেত্রীদের থেকে আলাদা করে।
তবে শুধুমাত্র একঘেয়ে ধারাবাহিকেই নয় নাটক, থিয়েটার এবং কিছু সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয় তাঁর কাজের খতিয়ান। বেতারেও দাপিয়ে কাজ করেছেন তিনি। একবার স্ক্রিপ্ট ছাড়াই মেঘদূত স্মরণ করে পুরো শো কভার করে ফেলেছিলেন তিনি। এই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেত্রী কাটিয়ে ফেলেছেন জীবনের ৩৬ টা বছর।
যদিও বেশ কিছু পরিচালকের সঙ্গে সিনেমায় কাজ করলেও নতুন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে অভিনেত্রীর। কিন্তু ডাক পান না। আসলে তিনি বাস্তব সম্মত ছবিতে কাজ করতে চান। যার সুযোগ তিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করে পান না। কাজের জন্য কাউকে বলতে আবার তাঁর সংকোচ বোধ হয়। যদিও নিজের জীবন থেকে কোনদিনই বিরাট কিছু আশা করেননি অভিনেত্রী।তিনি জানেন, তাঁকে কেমন দেখতে, তিনি কী পারেন। আর তাই বড়পর্দা থেকে ডাক না পেয়ে তিনি নিজেকে এই বলে বোঝান যে, হয়তো তাঁর মধ্যেই কিছু ত্রুটি আছে যে কারণে তাঁকে কেউ ডাকে না।