ছোটকাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনে ফের এক নতুন বিপদের মুখে পর্ণা। দত্ত পরিবারে ঘনিয়ে এল বড় বিপদ। দত্ত বাড়ির প্রধান আসলে কে তাই এবার প্রশ্নের মুখে দাঁড়ালো। অর্থাৎ পর্ণার ঠাকুমা এবার বড় বিপদে পড়েছে। দত্ত বাড়িতে এল নতুন অতিথি পিয়ারী, যে ঠাম্মি অর্থাৎ হেমনালিনীর জায়গা নিতে চাইল। হেমনলিনীকে দুলালের উপপত্নী বলেও দাবি করেছে সে। এবার পর্ণা কিভাবে ঠাম্মির জায়গা ফিরিয়ে দেবে, এটাই দেখার। বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে জি বাংলার অন্যতম ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’।
সদ্য শুরু হওয়া ‘নিম ফুলের মধু’ কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি শুরু হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ট্রোলের শিকারও হয়েছে এই নতুন ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের নায়িকা পল্লবী শর্মা (পর্ণা), বাবা-মা’র আদুরে মেয়ে পর্ণা। তার ইচ্ছে ছিল, বিয়ে করে যৌথ পরিবারে যাওয়ার। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যৌথ পরিবারে গিয়ে প্রতিদিন নতুন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে পর্ণা। তবে পর্ণা খুবই সাহসী ও চালাক মেয়ে। সে ঠিক সবকিছু সামলে আগে এগিয়েছে। পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতে আসা প্রতিটি বিপদে ঝাঁপিয়ে পরে সে।
একের পর এক কাছের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের বিপদ থেকে মুক্ত করেছে। কিন্তু তারপরও পর্ণার শাশুড়ি পর্ণাকে সর্বদা দোষী করে। তবে সে সঠিক কাজের দ্বারা ঠিক জবাব দিয়ে দেয় সকলকে। সম্প্রতি পর্ণা নিজের আর সৃজনের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোটকাকে ফিরিয়ে দত্ত বাড়িতে যোগ্য সম্মান ছোট কাকীকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এবার ঠাম্মিকে তার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। দত্ত বাড়ির হাতে আসে গণপতির গুপ্তধন। আর তা দেখে যখন গোটা দত্ত বাড়ি আনন্দে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই ধারাবাহিকে এন্ট্রি নেয় বয়স্ক করে এক মহিলা সাথে অল্প বয়সী ছেলে চন্দন।
চন্দন জানায়, তারা সেই সোনার মূর্তি নেবে আর দত্তদের সমস্ত সম্পত্তিতে তাদের অধিকার। আদালতে যাওয়ার হুমকিও দেয় তারা। সেই মহিলা ঢুকেই বলে, সেই গণপতির গুপ্তধনটি তার। এরপরই ঠাম্মির জায়গায় সে বসে রাজ্ শুরু করে। হেমনলিনী স্বর্গীয় দুলাল দত্তর আসল বউ নয়, এমনটাই দাবি করে পিয়ারী। তারপরই ঠাম্মি হেমনলিনী পর্ণা ও সৃজনকে তার সতীন কাঁটা ব্রতের কথা শোনায়। সে বলে, তাদের দাদু স্বর্গীয় দুলাল দত্তর চরিত্র ভালো ছিল না। বিয়ের আগে এক বাইজির প্রেমে পড়েছিল দুলাল। আর সেই পিয়ারী, বিয়ের পর তাকে বাড়িতে আনে দুলাল।
সেই সতীনকে তাড়ানোর জন্য সতীন কাঁটা ব্রত পালন করে ঠাম্মি। সেই রাগে পেয়ারিকে নিয়ে বাড়ি ছাড়ে দুলাল। কারণ, দেবনারায়ণ অর্থাৎ শ্বশুর বউমা অর্থাৎ হেমনালিনীর নামে সম্পত্তি লিখে দিয়েছিল। পরে যদিও দুলাল ফায়ার আসে। এতো বছর পর পিয়ারী দত্ত বাড়িতে এসে নিজেকে দুলালের পত্নী বলে দাবি করছে। এবার আইনি লড়াইয়ে নামবে হেমনলিনী এবং পিয়ারী! আর সেই লড়াইতে ঠাম্মির সাথে রয়েছে পর্ণা। এবার পিয়ারীকে তাড়িয়ে ঠাকুমার জায়গা ফিরিয়ে দেওয়াই এখন সবথেকে বড় উদ্দেশ্য পর্ণার।