বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ায় এই মুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো টিআরপি। যদি কোনও ধারাবাহিকের টিআরপি বেশি থাকে তাহলে সেই ধারাবাহিক বেশি দিন চলবে। আর কম হলে অচিরেই বিদায় নেবে। আর এটাই এখন বর্তমান বাংলা সিরিয়ালের ট্রেন্ড।
আসলে বাংলা টেলিভিশনের জন্মকাল থেকেই বাঙালি দর্শকদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হলো বাংলা ধারাবাহিক। আর তাই দর্শকদের মনোরঞ্জনে সদা তৎপর চ্যানেল। আর তাই দর্শকদের বিনোদন দিতে কোনও খামতি রাখতে চায় না চ্যানেল ও প্রযোজনা সংস্থাগুলি। বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে তিনটি ধারাবাহিক দর্শকদের সব থেকে বেশি মনোরঞ্জন করছে। প্রথমটি হল স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া, দ্বিতীয় স্থানে গৌরী এলো এবং তৃতীয় স্থানে ব্লুজ প্রোডাকশন হাউজের জগদ্ধাত্রী।
জি বাংলার পর্দায় গত বছর শুরু হওয়া ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী কিন্তু দারুণ ফল করেছে। স্লট লিডার হওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় বেঙ্গল টপার হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। আর সেই কারণেই ব্লুজ প্রোডাকশন হাউসকে আরও দুটি ধারাবাহিক নিয়ে আসার অনুমতি দিয়েছিল জি বাংলা। যার মধ্যে একটি ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। মুকুট। ধুমতানানা স্টাইলে এই ধারাবাহিকটি চললেও টিআরপি তালিকায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আর তাই সেই কারণে জি বাংলা চ্যানেল ব্লুজ প্রোডাকশন হাউসের অন্য ধারাবাহিকটি বাতিল করে দিল। আর এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই লিডিং চরিত্রে ফেরার কথা ছিল অভিনেত্রী নেহা আমনদীপের। জানা গিয়েছিল, খুব শীঘ্রই জি বাংলার নতুন একটি ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে নেহাকে। আর সেই ধারাবাহিকটিকেই বাতিল করল জি বাংলা।
তীব্র মানসিক অবসাদকে কাটিয়ে ফিরছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু নতুন করে জীবন শুরুর আগেই ফের ধাক্কা খেলেন তিনি।ধারাবাহিকের সবকিছু তৈরি হয়ে গেলেও অন্তিম মুহূর্তে তা বাতিল করে দিলেও চ্যানেল। উল্লেখ্য, এই অভিনেত্রী ‘স্ত্রী’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পান। এরপর কনে বউ ধারাবাহিকেও বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে নেহা জানিয়েছিলেন, একটা সময় প্রচন্ড মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এমনকী নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তাও এসেছিল তাঁর মাথায়। সেই অবস্থা কাটিয়ে ফের কাজে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা।