তিনি বাংলার সফল অভিনেত্রী আর আজ তিনি অন্যতম সফল সঞ্চালিকাও বটে। তাঁর বয়সের গন্ডী চল্লিশের কোঠা পেরোলেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি সমান দাপট দেখিয়ে চলেছেন তিনি। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী তিনি। তবে অভিনয়, সঞ্চালনার পাশাপাশি এখন সফল ব্যবসাদার তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে মিস কলকাতা খেতাব জেতেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। তিনি প্রত্যেক সিনেমায় নিজের অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। একটা সময় প্রসেনজিৎ-রচনা জুটি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে প্রচুর সিনেমা উপহার দিয়েছিল। প্রত্যেকটি সিনেমাই ছিল দারুণ সফল। তাঁদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল আজকের টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।
তবে এখন সিনেমায় সেই ভাবে তাঁকে দেখতে পাওয়া না গেলেও বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ায় তিনি অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। জি বাংলায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয় শো দিদি নাম্বার ওয়ান তাঁকে এনে দিয়েছে বিশেষ খ্যাতি। টানা ১২ বছর ধরে এই শো’এর সফল সঞ্চালিকা তিনি। উল্লেখ্য, বলিউডের পাশাপাশি টলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করেছেন। কেউ খুলছেন ক্যাফে। কেউ আবার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। আর সেই তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি।
রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বের পাশাপাশি রচনা ব্যানার্জীর আরও এক নতুন পরিচয় রয়েছে তিনি এখন রচনাস ক্রিয়েশন নামের একটি ব্র্যান্ডও চালু করেছেন তিনি। আর এবার শাড়ির ব্যবসার পাশাপাশি তিনি এ বার নিজস্ব একটি কসমেটিকেস সংস্থাও খুলে ফেললেন রচনা ব্যানার্জি। সেখানে নাকি তাঁর নামেই রূপসজ্জার সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। এবং মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত সবার জন্য ভেবেই তিনি নিজের প্রোডাক্টের দাম নির্ধারণ করেছেন।
আসলে বলি নায়িকাদের মতো রচনাও নিজের কসমেটিক ব্র্যান্ড খুলে বসলেন। বলি নায়িকাদের মতো রচনাও স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট দিয়ে নিজের হাত পাকাচ্ছেন। তাঁর কসমেটিকস ব্র্যান্ডের নাম রচনা কেয়ার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে তিনি নিজের কাজ, ব্যবসা নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে বড় পর্দায় বা সিনেমায় এখন আর তাঁকে দেখা যাবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে অভিনেত্রীর জীবনে রয়ে গেছে একটি আক্ষেপ। কী সেই আক্ষেপ? ছেলেকে সময় না দেওয়ার আক্ষেপ। আসলে গোটা জীবন তিনি এতটাই কর্মব্যস্ত থেকেছেন যে তিনি নিজের ছেলেকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি। আর সেই কারণেই সেই আক্ষেপ আজও তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। যদিও তিনি মনে করেন যে মায়েরা ওয়ার্কিং হন তাঁরা সন্তানদের পুরো সময় দিতে পারেন না এবং এটাই বাস্তব।
View this post on Instagram