জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Koneenica Banerjee: ‘ব্যাঙ্ক আমাদের লোন দেয় না! মাসের শেষে কিছু রোজগারের জন্য শিল্পীদের স্ট্রাগলটা চলতেই থাকে’! অকপট ‘এক আকাশের নিচে’র কনীনিকা

বাংলা টেলিভিশন এবং সিনেমা দুনিয়ায় অন্যতম পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ তিনি। নিজের শারীরিক অসুস্থতাকে কাটিয়ে আবার‌ও অভিনয়ে ফিরেছেন তিনি‌। সম্পূর্ণভাবে নিজের মানসিক শক্তিতে ভর করে আজ তিনি আবার অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করছেন।

হ্যাঁ কথা বলছি অভিনেত্রী কনীনিকা ব্যানার্জির। তাঁক শেষবারের মতো দেখে গিয়েছিল স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল আয় তবে সহচরীতে। যদিও অভিনেত্রীকে ছাড়াই শেষ হয় এই ধারাবাহিক। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই ধারাবাহিকের অন্তিম দিনগুলিতে শুটিং করতে পারেননি অভিনেত্রী। তিনি নিজেই আগে জানিয়েছিলেন বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ।

যদিও বর্তমানে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন তিনি। সম্প্রতি বিদেশ সফর শেষ করে এসেছেন। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে এবার দেখা যাবে রাজর্ষি দে’র পরিচালনায় নির্মিত মায়া নামক একটি ছবিতে। দেবদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রোহিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ছবিটি। এই ছবিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পারমিতার ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্পূর্ণ এক ভিন্ন রকম চরিত্রে এই ছবিতে ধরা দেবেন অভিনেত্রী। যদিও এই ছবির লুক টেস্টে গিয়ে ছবিটি লুক দেখে কাজটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, পরে রাজর্ষির সঙ্গে কথা বলে একটা পজিটিভ এনার্জি পাই। আসলে আমার চরিত্রটা এমন এক অভিনেত্রীর ছিল, যে এক সময়ে খ্যাতির শীর্ষে ছিল। এর আগে এমন চরিত্রে দর্শক আমাকে কখন‌ও দেখেননি।

এখন টেলিভিশন থেকে সিনেমার পর্দা সর্বত্রই দাপিয়ে কাজ করলেও একটা সময় প্রায় ছয়-সাত বছরের ব্রেক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অকপটে বলেন মনের মতো কাজ পাইনি সেই কারণেই করিনি। এখনও যে খুব বেশি কাজ করেন তা নয়। অভিনেত্রীর কথায় স্ট্রাগলটা সেই ধারাবাহিকে কাজ শুরুর দিন থেকে আজও রয়ে গেছে।

সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, এই স্ট্রাগলটা প্রত্যেক অভিনেতার জীবনেই রয়েছে। অল্প বয়সী থেকে বয়স্ক যেকোনও অভিনেতাই আজও শুধুমাত্র কাজ নয় মাসের শেষে কিছু আর্থিক উপার্জনের জন্য, সংসার চালানোর জন্য কাজ খুঁজে চলেছেন। কেউ পাচ্ছেন কেউ পাচ্ছেন না। কিন্তু স্ট্রাগলটা চলছে। এরপরেই অভিনেত্রী বলেন, জানেন তো ব্যাঙ্কও আমাদের লোন দেয় না। আসলে আমাদের তো কোন‌ও সঠিক বাঁধাধরা রোজগার নেই তাই অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকতে হয়।

Titli Bhattacharya