জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Icche Putul: মেঘ রূপের প্রতি শারীরিকভাবে দুর্বল সেটা শ্বশুরবাড়িতে নিজেই প্রচার করেছে ময়ূরী! দিদি হয়ে বোনের চরিত্রে মিথ্যে নোংরা দাগ কীভাবে লাগাল ময়ূরী? গল্প দেখে ছি ছি করছে দর্শক

এতবার ধরা পড়ে যাওয়ার পরও ফের ময়ূরী আবার মেঘকে মিথ্যা দোষে ফাঁসালো। মিথ্যা অপবাদে মেঘকে আবার শ্বশুরবাড়িতে অপমানিত হতে হল। এবার রূপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেঘকে বদনাম করল ময়ূরী। গিনিকে বাঁচাতে গিয়ে মেঘ আবারও শ্বশুরবাড়িতে সকলের কাছে খারাপ হয়ে গেল। আগেই মেঘকে সমস্যায় ফেলার সুযোগ পেয়ে রূপের সঙ্গে মেঘের নাম জোড়ায় ময়ূরী। আর তাতেই নীল আগেই মেঘের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে চলেছিল। তবে মেঘ এবার সকলের সামনে নিয়েছে মারাত্মক সিদ্ধান্ত।

আর নয়, এবার চিরতরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় নিল মেঘ। নীলকে দিতে চলেছে ডিভোর্স। শুধু তাই নয়, ডিভোর্সের পাশাপাশি নীলের সঙ্গে ময়ূরীর বিয়েটাও নিজে হাতে দেবে মেঘ, এমনটাই প্রতিজ্ঞা করেছে সে। উল্লেখ্য, মেঘের বাপেরবাড়ির পাড়ার এক লম্ফোট ছেলের সঙ্গে নীলের বোন গিনির সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই মেঘ সেই সম্পর্ক নিয়ে খুবই চিন্তিত। মেঘ চায় না গিনি এই সম্পর্কে থাকুক। তাই বারংবার মেঘ গিনিকে সাবধান করেছে। কিন্তু মেঘের কথা কেউই বিশ্বাস করেনি। আমরা জানি, শ্বশুর ও ঠাম্মি ছাড়া মেঘকে গাঙ্গুলি বাড়ির বউ হিসাবেও মানতে চায় না কেউ।

তবুও মেঘ সর্বদা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে নিজের ভেবে আগলে রাখার চেষ্টা করে। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’। শুরু হওয়ার সাথে সাথে বড় লিপ নেওয়ার কথাও উঠেছে এই ধারাবাহিকের। ধারাবাহিকে দুই বোনের মধ্যে বড় বোন অসুস্থ এবং ছোট বোন নিজের জীবন স্যাক্রিফাইস করে দিদিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু তারপরও বড় বোন ময়ূরী ছোট বোন মেঘকে পদে পদে বিপদে ফেলে। এমনকি তার নাম মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার সংসার ভাঙতে চেয়েছে বারংবার।

শ্বশুরবাড়ির প্রায় সকলেই আবার ময়ূরীর উপর বিশ্বাস রাখে। নীলের বোন গিনিও মেঘকে একেবারেই সহ্য করে না। আর তাই স্বাভাবিক ভাবেই মেঘের কথায় পাত্তা দেয় না গিনি। এদিকে রূপ গিনির বাড়িতে এসে মিষ্টি কথায় সকলকে ইমপ্রেস করে। যখন গিনির রুমে রূপ যায়। সেসময় গিনি ও বাড়ির সকলের অবর্তমানে ময়ূরী চালাকি করে মেঘকে রূপের ঘরে পাঠায়। আর তখনই রূপ মেঘের গায়ে হাত দেয়, বাজে ব্যবহার করে মেঘের সঙ্গে। মেঘ ও রূপকে ঘনিষ্ঠ ভাবে দেখে সকলে এটাই ভেবে নেয় মেঘের চরিত্র খারাপ।

তবে ময়ূরী মেঘের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি। সে বুঝতে পেরেছে ময়ূরী ইচ্ছা করে মেঘকে সেখানে পাঠিয়েছিল। ইচ্ছা করে সেই পরিস্থিতি তৈরী করে মেঘকে বদনাম করতে চেয়েছিল। দিদি হয়ে বোনের এমন ক্ষতি হয়তো বাস্তবেও তেমন দেখা যায়না। দুই বোনের এমন সম্পর্ক দেখে দর্শকরা লেখিকার উপর গেল খেপে। তিক্ততা, হিংসা দেখতে গিয়ে এমনকিছু দেখাচ্ছে যে সম্পর্কগুলোকে অনেকবেশি ছোট করে ফেলছে। তবে কি ময়ূরীর সঙ্গেই নীলের শেষমেশ বিয়ে হবে? নাকি শেষ সময়ে আবার মোড় ঘুরে যেতেও পারে। তাই দেখার অপেক্ষায় দর্শক।

Titli Bhattacharya