বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় ইতিহাস সৃষ্টি করে শেষ হয়ে গেছে জি বাংলার (Zee Bangla) সফল ধারাবাহিক মিঠাই (Mithai)। শেষ হলেও আজও এই ধারাবাহিক ভুলতে পারেননি এই ধারাবাহিকের ভক্ত-অনুগামীরা। বলাই যায় আগামী কয়েক বছর বাঙালি ভক্ত দর্শকদের মনে এই ধারাবাহিকের রেশ থেকে যাবে। আসলে এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে ছিল ইমোশন। বা বলতে পারেন মন খারাপের টনিক।
সুদীর্ঘ আড়াই বছর ধরে একইভাবে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে এই ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে গেছে। এই ধারাবাহিক শেষে বিভিন্ন চরিত্ররা আবারও অন্যান্য কাজে ফিরেছেন। এই যেমন মিঠাই ধারাবাহিকের নায়িকা সৌমীতৃষা কুন্ডু ধারাবাহিকের দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে সিনেমায় পা রাখতে চলেছেন। তিনি দেবের বিপরীতে প্রধান সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছেন।
উল্লেখ্য, টনিক, প্রজাপতির মতো সাফল্যমণ্ডিত সিনেমার প্রযোজক অতনু রায় চৌধুরীর কাছ থেকে দেবের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের ফোন পান। আর যথারীতি দেবের মতো নামী তারকার বিপরীতে কাজের সুযোগ পেয়ে তা একেবারেই মিস করতে চাননি অভিনেত্রী। সেই সুযোগ একেবারে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো লুফে নেন তিনি।
দেবের এখনকার নায়িকারা নতুন
আসলে এই মুহূর্তে অভিনেতা দেব টলিউডের নামি দামি অভিনেত্রীদের থেকে বেশি উঠতি, আনকোরা নায়িকাদের সঙ্গে বেশি কাজ করছেন। এই যেমন প্রজাপতি সিনেমায় তাঁর বিপরীতে নায়িকা হয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। শ্বেতা মূলত ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। অন্যদিকে দেবের বাঘাযতীন সিনেমায় বাঘাযতীনের স্ত্রী ইন্দুবালার চরিত্রে অভিনয় করছেন আনকোরা সৃজা দত্ত।
কী বললেন দেব?
আর সেই রকম ধারাবাহিকে অভিনয় করলেও সিনে দুনিয়ায় একেবারেই নতুন সৌমীতৃষা। আর এই বিষয়ে সম্প্রতি অভিনেতাদের বলেছেন তিনি এই মুহূর্তে চরিত্র ভিত্তিক কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। এবং নজর রাখেন যেন আসল চরিত্রটার সঙ্গে অভিনীত- অভিনেত্রীদের মুখের এবং শারীরিক গড়নের যতটা সামঞ্জস্য বজায় রাখা যায়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, প্রধান সিনেমার চরিত্রটার জন্য সৌমীতৃষাই সব থেকে ভাল রকম ভাবে ফিট করেছিল। আমাদের মনে হয়েছিল ওই এই চরিত্র তার জন্য উপযুক্ত আর সেই জন্যই ওকে নির্বাচন করা হয়।