বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’। ‘নিম ফুলের মধু’ শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পাশাপাশি শুরু হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকারও হয়েছে এই নতুন ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের নায়িকা পল্লবী শর্মা (পর্ণা), বাবা-মা’র আদুরে মেয়ে পর্ণা। তার ইচ্ছে ছিল বিয়ে করে যৌথ পরিবারে যাওয়ার। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যৌথ পরিবারে গিয়ে প্রতিদিন নতুন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে পর্ণা।
পর্ণা খুবই সাহসী ও চালাক মেয়ে। সে ঠিক সবকিছু সামলে আগে এগিয়েছে। পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতে আসা প্রতিটি বিপদে ঝাঁপিয়ে পরে সে। একের পর এক কাছের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে সে, তাদের বিপদ থেকে মুক্ত করেছে। কিন্তু তারপরও পর্ণার শাশুড়ি পর্ণাকে সর্বদা দোষী করে। এরমাঝেই সৃজনের চাকরি চলে যায়। যদিও পর্ণা সৃজনকে সাহস জাগায়। সৃজন ঠিক করে সে গুজরাটে চাকরি করতে যাবে। সৃজনকে গুজরাট যাওয়া থেকে আটকাতে পর্ণা নকল বস সেজে সৃজনকে কাজের অফার দেয়।
তিন্নির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বটব্যালের নয়া ষড়যন্ত্র
সৃজনের এই নতুন শাড়ির ব্যবসা যাতে ভালো হয়, তাই দত্ত বাড়ির সকলে মিলে শাড়ি পড়ে রাম্প ওয়াক করে। এরমধ্যেই জেল থেকে ছাড়া পায় বট্টব্যাল। সে জেল থেকে বের হয়েই পর্ণার সঙ্গে প্রতিশোধ নেবে বলে ঠিক করে। উল্লেখ্য, সৃজনের যখন চাকরি চলে গিয়েছিল, তখন ডিপ্রেশনের জেরে তিন্নির কথায় পা দিয়ে একটি কন্ট্র্যাকে সই করে তাদের হয়ে কাজ করার জন্য। কিন্তু সৃজন দেখে তিন্নি ও স্যার বট্টব্যাল তাকে চাকরের মতো ২৪ ঘন্টা খাটায়। চাকরের মতো তিন্নি সৃজনের সাথে ব্যবহারও করে। কিন্তু সৃজন কাজ ছাড়তেও পারে না কারণ সে কনট্র্যাক্ট পেপারে সই করেছিল।
ফুল মাসি সেজে দত্ত বাড়িতে এন্ট্রি বটব্যালের
বটব্যালের আসল মুখোশ মিডিয়ার সামনে এনে পর্ণা বট্টব্যালকে জেলে পাঠায়। সেই বট্টব্যাল জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর পায় পর্ণা। তারপরই দেখা যায় তিন্নির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পর্ণার সর্বনাশ করতে তিন্নির ফুল মাসি সেজে দত্ত বাড়িতে এন্ট্রি নেয় বট্টব্যাল। আর তিন্নির কথায় টাকার লোভে বটব্যালের সাথ দেয় সৃজনের বড় বৌদি মৌমিতা ও বড় দাদা। বাড়ির কাজের লোক মঙ্গলা বটু মাসিকে দাড়ি কাটতে দেখে ফেলে। যা বেশ অবাক করে পর্ণাকে। পর্ণার মনে ফুল মাসিকে নিয়ে সন্দেহের বীজ তৈরী হয়েছে।
বটুর জন্য বিপন্ন পর্ণার জীবন
বটু পর্ণার ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পর্ণাকে নানান ভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। দেখা যায়, পর্ণা আসবে জেনে সিঁড়িতে তেল ফেলে রাখে বটু। আর ঠিক তার কিছুক্ষন পরেই পর্ণা নিচে নামতে যায়। এদিকে নিচ থেকে বটু কাউন্ট করতে থাকে। তবে কি বটুর চক্রান্তে পর্ণার জীবন বিপদে? যদিও পর্ণা খুবই চালাক একটি মেয়ে। ফুল মাসিকে চিনতে হয়তো তার আর বেশি দেরি হবে না। সকলকে বিপদ থেকে রক্ষা করা পর্ণা এবার কি নিজেকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবে?