জি বাংলার পর্দায় অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ ধারাবাহিক এখন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পুত্র অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে চলা ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল।’ এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। না শুধুমাত্র টিআরপি তালিকার দিকে নজর দিলেই হবে না। দর্শকদের পছন্দরও তো একটা বিষয় আছে! আর সেই হিসেবেই দর্শকরা ভীষণ পছন্দ করেছেন এই ধারাবাহিকটিকে।
যদিও বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় চলা কিছু কিছু ধারাবাহিকের মধ্যে এই ধারাবাহিকটিতেও এখন নায়ক নায়িকার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বেশ দীর্ঘ সময় ব্যাপী আলাদা রয়েছেন নায়ক- নায়িকা। আর তাদের মধ্যে ভিলেনের কাজ করছেন স্বয়ং নায়িকার দিদি। আসলে মেঘ ও ময়ূরী দুই বোনের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। আর এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে যেমন রয়েছে নায়িকা মেঘ। তেমনই মূল খলনায়িকার চরিত্রের রয়েছে স্বয়ং নায়িকার দিদি ময়ূরী।
আসলে ময়ূরী মেঘের জীবনের কোন ভালো কিছুই সহ্য করতে পারে না। আর সেই ধারাবাহিকতাতেই মেঘের বিয়ে হয়ে যাওয়াটাও সহ্য করতে পারেনি সে। যে কোনভাবে যে কোনও উপায়ে সে বিষিয়ে দিতে চেয়েছে মেঘ ও তার স্বামী সৌরনীলের জীবন। আর সেই কাজে সে সক্ষম হয়েছে। মেঘ এবং সৌরনীল দুপক্ষকে উস্কানি দিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তিক্ত করে দিয়েছে ময়ূরী। এমনকি ডিভোর্সের পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে তাদের সম্পর্ক।
এই ধারাবাহিকটির আগামী দিনে দেখা যাবে ডিভোর্সের জন্য নীল আদালতে যাবে। আর এবার হয়ত আদালত তাদের দুজনকে জানিয়ে দেবে যে আগামী ছয়মাসের জন্য এক ছাদের তলায় থাকতে হবে, মেঘ ও নীলকে। তবেই ডিভোর্স হবে এই দুজনের। কিন্তু এই রায় শুনে কার্যত রেগে যায় ময়ূরী। কারণ মেঘ-নীলকে আলাদা করার সমস্ত রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায় ময়ূরীর কাছে।
দীর্ঘদিন ধরে অনেক পরিশ্রম করে দুজনের মধ্যে বিরোধ করিয়েছে। কিন্তু এই ৬ মাসে যদি আবার তারা কাছাকাছি চলে আসে তাহলে তার সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। আগামী এই ছ মাসে কী দূরে থেকে ধীরে ধীরে কাছে চলে আসবে মেঘ-নীল? সেটাই এখন দেখার।