গতকাল ছিল আমাদের সিডি বয়ের জন্মদিন। 30 বছরে পা দিলো সিদ্ধার্থ। সেই উপলক্ষ্যে গতকাল ভারত লক্ষ্মী স্টুডিওর দরজা খোলা ছিল ভক্তদের জন্য আর সেখানেই সমাগম হয়েছিল শতাধিক ভক্তদের। অধিকাংশই মহিলা। একসঙ্গে দশটা কেক রাখা হয় আদৃতের সামনে আর আদৃত প্রত্যেকটা কেক কাটেন। ভক্তদের হাতে বানানো পায়েস খান।প্রত্যেকের উপহার নেন এবং খুব ভালো সময় কাটান তাদের সঙ্গে। এই সংক্রান্ত সমস্ত ছবি এবং ভিডিও আপনাদের আমরা দেখিয়েছি।
তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। আমাদের মিঠাই রানী অর্থাৎ সৌমি ফেসবুকে বা ইনস্টাগ্রামে কোন রকম শুভেচ্ছা জানাননি উচ্ছেবাবুকে। যেটা প্রচন্ড চোখে লাগছে সকলের।তার কারণ সৌমি মিঠাই এর প্রত্যেকটা সদস্যের জন্মদিনের পোস্ট দেয় সেখানে তার জন্মদিনে মিঠাই পুরো চুপ,এটা যেন ঠিক মানতে পারছেন না কেউই। আরও অবাক ব্যাপার হলো আগে যে সিদ্ধার্থ এবং মিঠাই এর যৌথ মুহূর্তগুলো নিজের স্টোরিতে শেয়ার করত সৌমি সেগুলো হঠাৎ করে করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং দুজনের একসঙ্গে থাকা সমস্ত ফ্যান ক্লাবকে সে আনফলো করেছে। এমনকি কালকে কেক খাওয়ানোর সময় তার চোখমুখ দেখে ভালো লাগেনি কারোর।
যাই হোক, এবার আদৃতের আরও কিছু জন্মদিন সেলিব্রেশন এর ছবি আমরা দেখতে পেয়েছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুশকিলটা হলো সেগুলো নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। মানুষ আদৃত আর সৌমিকে কোন স্পেসই দিতে চাইছে না। গতকাল রাতে নিজের কাছের বন্ধুদের নিয়ে একটি জন্মদিনের হাউস পার্টি করেন আদৃত। তার প্রিয় বন্ধু এবং গায়ক সৌমিত্র রায়-এর ছেলে আর্যেশ রয় একটি স্টোরি পোস্ট করেন যেখানে দেখা যায় সমস্ত কাছের বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করছে আদৃত এবং এই কাছের বন্ধুদের মধ্যে মিঠাই টিমের একমাত্র একজন সদস্যকেই আমরা দেখতে পেয়েছি। সে হল কৌশাম্বী। দিদিয়া আসলে আদৃতের বেস্ট ফ্রেন্ডসেটা আদৃত নিজেই তার পোস্টে জানিয়েছিলেন কয়েকদিন আগে।তাই খুব ঘনিষ্ঠ মানুষদের নিয়েই এই হাউস পার্টির আয়োজন।এছাড়াও কৌশাম্বী দাদা আদৃতকে জড়িয়ে ধরে দুটো ফটো দিয়েছেন।
যদিও এই ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।আদৃত এবং কৌশাম্বী কে নিয়ে নোংরা কথা বলা শুরু হয় যেগুলো কখনোই কাম্য নয়। ব্যক্তিগত জীবনে কে কার সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করবে সেটা তার নিজের সিদ্ধান্ত। ভক্তরা কখনোই ঠিক করে দিতে পারেনা আদৃত কখন কার সাথে মিশবে। মিঠাই ফ্যানরাও আদৃতকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন যেটা ঠিক নয়। আবার আদৃতের ভক্তরা মিঠাই ভক্তদের অপমান করছে যেটা ও একদমই কাম্য নয়।
সেজন্য আর্যেশ কিছুক্ষণ আগেই নিজের ফেসবুক পোস্টে সকলকে সতর্ক করে দেন যে তার থেকে ছবি নিয়ে নোংরামিটা যেন বন্ধ করেন সকলে। অন্যথায় তিনি লালবাজার সাইবার ক্রাইমে যাবেন।নিজের দুই প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ভক্তদের এরকম কদর্য আচরণ তিনি কিছুতেই মেনে নেবেন না।