শুটিং শুরু হতে না হতেই বদলে গিয়েছিল ‘মা দূর্গা’। অপেক্ষায় আর মাত্র কিছু মাস। ধীরে ধীরে পর্দার মহালয়ার এক এক নতুন তথ্য সামনে আসছে। বাঙালি মানেই হল বারো মাসে তেরো পার্বণ। এরমধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গা পুজো (Durga Puja)। ইতিমধ্যেই সকলে শুরু করে দিয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। পুজোর আনন্দে সামিল হতে বসেছে প্রতিটি বাঙালি। এই দিনটার অপেক্ষায় থাকে সকল বাঙালি। প্রত্যেকে নিজেদের সাধ্য মতো পুজোর দিনগুলোতে নিজেদের মতো করে আনন্দের জোয়ারে ভেসে যায়।
আনন্দের পাশাপাশি টিভির পর্দায় মহালায়া দেখার একটা ক্রেজও রয়েছে। মহালয়ের দিন রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ব্যারিটোন ভয়েসে মহালয়া শোনার রীতি তো যুগে যুগে বিরাজমান। পাশাপাশি টিভিতে মহালয়া দেখতেও মানুষ বেশ আগ্রহী। টেলিভিশনে দেবী দুর্গা রূপে ধরা দেন আমাদেরই প্রিয় তারকারা। তারকাদের দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে দর্শক। টলিপাড়ার জনপ্রিয় তারকা শুভশ্রী থেকে শ্রাবন্তী সকলেই দেবী দুর্গা রূপে অসুর দমন করেছেন।
জি বাংলার মহিষাসুরমর্দিনী হচ্ছেন কে?
মহলয়ার অনুষ্ঠান নিয়ে চ্যানেলগুলির মধ্যেও প্রতিযোগিতা কিছু কম নয়। কোন চ্যানেলে কে সাজবেন মহিষাসুরমর্দিনী, তা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বিস্তর কৌতুহল থাকে। ১৪ অক্টোবর মহালয়াতে কে হবে জি বাংলার (Zee Bangla) মহিষাসুরমর্দিনী, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল ভক্তদের মধ্যে। বেশিরবাগ দর্শকরা চান দূর্গা রূপে শ্রাবন্তীকে দেখতে। আবার অনেকে চান দূর্গা রূপে আমাদের সকলের প্রিয় করুণাময়ী রাণী রাসমণি খ্যাত দিতিপ্রিয়া রায়কে (Ditipriya Roy) বাছাই করা হোক।
কোন থিমে আসছে মহালয়ার দেবীরা?
শেষমেশ সামনে আসে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে ধরা দেবেন ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকের অঙ্কিতা মল্লিক। পাশাপাশি জি বাংলার মহিষাসুরমর্দিনীতে শিবের বেশে আসার কথা ছিল অভিনেতা রুবেল দাসের। দুর্ঘটনার জন্য রুবেল এখনও ভালো করে দাঁড়াতে পারছেন না। তাই এ বছর শিবের চরিত্রে অভিনেতা রুবেলের বদলে মহাদেব হচ্ছেন ‘ফুলকির’র নায়ক অভিষেক বসু। সামনে এল দুর্গার আরও কিছু রূপ, যে সকল চরিত্রে অভিনয় করছেন জি বাংলার জনপ্রিয় সকল নায়িকা। জানা যাচ্ছে, শ্বেতা ভট্টাচার্য ধরা দেবেন মা দুর্গার শিবা রূপে, মোহনা মাইতি ধরা দেবেন ব্রম্ভনি রূপে, ফুলকি ধারাবাহিকের দিভ্যানি মন্ডল মা লক্ষ্যি রূপে ধরা দেবেন।
মহালয়ার ‘নব পত্রিকার’ থিমে থাকছেন কোন কোন তারকা?
যদিও অফিসিয়ালি সেভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে জি বাংলা মহালয়ের থিম নিয়ে কিছু তথ্য সামনে এল। জানা গেল, এবার মা আসবেন ‘নব পত্রিকার’ থিমে। কলা গাছের দেবী হলেন ব্রহ্মানি (মোহনা), ডালিম গাছের অধিষ্ঠার্থী দেবী রক্তদন্তিকা (দিতিপ্রিয়া), ধান গাছের দেবী হলেন লক্ষী (দিভ্যানি, ফুলকি), জয়ন্তী গাছের দেবী কার্তিকী (তিতিক্ষা), হলুদ গাছের অধিষ্ঠার্থী দেবী হলেন উমা (দিতিপ্রিয়া), কচু গাছে- দেবী কালী (শ্রুতি), মান গাছের দেবী চামুন্ডা (সর্বানী), বেল গাছের দেবী হলেন শিবা/মহেশ্বরী (শ্বেতা), অশোক গাছের দেবী হলেন শোকরোহিতা (অরিত্রিকা)। এখন সকলেই অপেক্ষায় পর্দায় নিজের প্রিয় নায়ক-নায়িকাদের দেব-দেবীর রূপে দেখার জন্য।