জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: পরাগের স্কুলে গিয়ে চাকরি খেয়ে নিল শিমুল! উপার্জনের টাকা তুলে দেওয়া হবে শিমুলের হাতেই

সম্প্রতি শুরু হয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। আর সেই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আবার পর্দায় ফিরেছেন মানালি দে (Manali Dey)। অভিনেত্রীর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। দর্শকদের খুব প্রিয় মানালি। এবার তিনি পর্দায় এসেছেন শিমুল (Shimul) নাম নিয়ে। প্রথম দিন থেকে আমরা দেখে এসেছি, শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকেই তার সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়েছে। কিন্তু শিমুল চুপ নেই। নিজের অস্তিত্ব ও সম্মানের জন্য সে অনবরত লড়াই করে চলেছে।

শাশুড়ি, দেওর, স্বামী সকলেই তাকে বহুবার বিনা কারণে অপমান করেছে, এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে নতুন বৌকে। তবুও শিমুল তার শাশুড়ির ইচ্ছা পূরণ করতে নিজের বালা বন্দক রেখেছে। শুধুমাত্রই যাতে শাশুড়ি কাশি ঘুরতে যেতে পারে। এদিকে দুই ছেলে চাকরি করা সত্ত্বেও মায়ের ইচ্ছা পূরণ করেনি। তবুও ছেলের কথায় শাশুড়িও বারংবার শিমুলকে কথা শুনিয়েছে। পাশাপাশি শিমুলের স্বামী পরাগও (Parag) শিমুলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।

পরাগ শিমুলের উপর মানসিক ও শারীরিক দুই অত্যাচার করে থাকে প্রায় দিন। রাতের বেলা স্বামীর অধিকার ফোলানোর চেষ্টা করে। যা শিমুলের কাছে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল। তবুও শিমুল চুপ থাকে। কিন্তু এবার তার গায়ে হাত তুলতে শিমুল নিল কড়া পদক্ষেপ। বিয়ের আগে শিমুলের সঙ্গে একটি ছেলের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়, আর তারপরই শিমুলের সঙ্গে পরাগের বিয়ে হয়। পরাগ সেই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে শিমুলের চরিত্র নিয়ে নানান কটু কথা বলতে থাকে।

শিমুল পরাগকে বারংবার বলে, যে সেই প্রেম তার অতীতে ছিল, বর্তমানের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও পরাগ শিমুলের গায়ে হাত তোলে। এমনকি পরদিন সকলের সামনেও শিমুলের গায়ে আবারও হাত তুলতে যায়, সাথে শিমুলকে ডিভোর্সের কথাও বলে। কিন্তু এবার শিমুল চুপ থাকে না। শিমুল পরাগের স্কুলে যায়। সেখানে পরাগের স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পরাগের এই কুকীর্তির কথা জানায়। একজন শিক্ষক হয়ে পরাগ তার স্ত্রীর সাথে এরূপ ব্যবহার কিভাবে করতে পারে, তাই ভেবে সেই শিক্ষক অবাক হয়ে যায়।

শিমুলের সামনেই সেই শিক্ষক পরাগকে ডেকে পাঠায়। শিমুলকে সেখানে দেখে পরাগ অবাক হয়ে যায়। শিমুল যে সত্যি এমন কাজ করবে, তা পরাগ আশা করেনি। স্কুলের শিক্ষক পরাগকে শেষবারের মতো সুযোগ দেয়। তিনি জানান, এরপরও যদি পরাগ শিমুলের গায়ে হাত তোলে তাহলে সে পরাগের উপার্জন স্ত্রীর হাতে তুলে দেবে। আর তারপরও যদি পরাগ না শোধরায়, তাহলে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হবে। কারণ তিনি চান না, তাঁর স্কুলে এমন কোনও শিক্ষক থাকুক, যিনি অমানুষের লিস্টে পরে। এবার পরাগ কি করবে? চাকরির ভয়ে কি নিজের ভুল শুধরে নেবে সে?

 

 

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।