তিনি টেলিভিশন থেকে তারকা হয়েছেন। তার জনপ্রিয়তা গগনচুম্বী। আজ মিঠাই ধারাবাহিক (Mithai serial) শেষ হয়েছে বেশ কয়েক মাস হল। তার পরেও তার জনপ্রিয়তায় কিন্তু কোনও ভাটা পড়েনি। তার ভক্ত সংখ্যা দেখলে চোখ কপালে ওঠে অন্যান্য তারকাদের। তিনি আজও দর্শকদের চোখে এতটাই জনপ্রিয়। তিনি অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundoo)।
শুধুমাত্র অভিনেত্রীকে আর টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পাবেন না বলে মিঠাই ধারাবাহিক শেষের দিন চোখের জলের বাঁধ ভেঙেছিল ভক্তদের মধ্যে। আসলে তিনি যে একজন অভিনেত্রী নন তিনি দর্শকদের ঘরের মেয়েতে পরিণত হয়েছেন। টেলিভিশনের পর্দা থেকে তিনি সরাসরি এন্ট্রি নিয়েছেন দর্শকদের অন্দরমহলে। আর সেই জন্যই তো তার এই পরিমাণ জনপ্রিয়তা।
আসলে বহু মানুষের কাছেই তিনি ছিলেন টনিকের মতো। তাকে দেখলেই মনে শান্তি পেতেন বহু মানুষ। যদিও মিঠাই ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাওয়ার পর সিনেমার দুনিয়ায় পা রেখেছেন এই অভিনেত্রী। একেবারে সরাসরি বাংলার সুপারস্টার দেবের বিপরীতে ‘প্রধান’ ছবিতে তার স্ত্রীর চরিত্রে দেখা মিলবে এই অভিনেত্রীর।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভালো প্রধান নয়, অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু প্রথম বাঘাযতীন সিনেমার জন্য অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু মিঠাই ধারাবাহিক আরও বেশ কয়েক মাস চলার কারণে ওই সিনেমায় তিনি সময় দিতে পারেননি আর সেই জন্যই তাকে বাঘাযতীন থেকে সরিয়ে প্রধান সিনেমার নায়িকা করা হয়। মিঠাই দেবের বিপরীতে সুযোগ পেতেই নানা জন নানা কথা বলা শুরু করেন। এমনকি এও শোনা যায় দেবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগকে কাজে লাগিয়েই সিনেমায় সুযোগ পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ
তবে অভিনেত্রীকে ঘিরে সব থেকে মাত্রা ছাড়া হল উইকিপিডিয়ার নোংরামো। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় বাংলা হরফে লেখা রয়েছে, ‘সৌমীতৃষা কুন্ডু একজন বাঙালি টেলিভিশন অভিনেত্রী যিনি দেবের পা চেটে সিনেমায় কাজ পেয়েছে।’ এছাড়াও মিঠাই ধারাবাহিক প্রসঙ্গে লেখা রয়েছে, ‘মিঠাই হলো জি বাংলা চ্যানেলে প্রচারিত একটি ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে ন্যাকামো মার্কা ধারাবাহিক। এর ফ্যানেরা ভীষণ টক্সিক।’
যে সৌমীতৃষা সম্পর্কে খারাপ কথা সহ্য করতে পারেন না তার ভক্ত অনুরাগীরা সেই অভিনেত্রীর নামে এমন কথা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তার ভক্তরা। সৌমীতৃষা কি এরকম খারাপ শব্দ ডিজার্ভ করেন? যদিও জানিয়ে রাখি মিঠাই সম্পর্কিত যতগুলি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে প্রত্যেকটি ফেক। কারণ আসল উইকিপিডিয়ায় অভিনেত্রী সম্পর্কে কোনও রকম নোংরা শব্দ লেখা নেই। বরং সেখানে তার কাজের প্রশংসাই করা হয়েছে।