জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সতীনদের মতো ঝগড়া নয়, বক্সিং ম্যাচেই প্রমাণ হবে ফুলকি না শালিনী কোন বউয়ের দম বেশি! অন্য ধরনের গল্প পেয়ে খুশি দর্শক

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের তালিকায় যতগুলি ধারাবাহিক চলছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো অবশ্যই জি বাংলার (Zee Bangla) ফুলকি (Phulki)। খুবই অল্প সময়ে এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর এর ফলে টিআরপি তালিকাতেও দারুণ ভালো পারফরমেন্স এই ধারাবাহিকের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকটি মিঠাই ধারাবাহিককে রিপ্লেস করে শুরু হয়েছিল। আর তাই অনেকেই ভেবেছিলেন মিঠাই ধারাবাহিকের পরিবর্তে এই ধারাবাহিকটি এসে সেই রকম ভাবে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারবে না। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে তরতরিয়ে সাফল্যের সিঁড়ি চলেছে এই ধারাবাহিকটি। মিঠাই ধারাবাহিকের কিছু অভিনেত্রী থেকে শুরু করে পরিচালক এই ধারাবাহিকে রয়েছেন।

আর এই ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকার দুষ্টু মিষ্টি গল্প‌ও বেশ চমকপ্রদ। অল্প সময়েই ধারাবাহিকটি দর্শকদের নজর কেড়ে নিয়েছে। আর সেই কারণেই টিআরপি তালিকায় দুই বা তিন স্থানে সর্বদা রাজত্ব করছে এই ধারাবাহিকটি। একটি পরিস্থিতির শিকার হয়ে রোহিত ফুলকিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে এখনও ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।

আর ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগেই ধারাবাহিকে হাজির রোহিতের প্রাক্তন স্ত্রী। আর রোহিতের ভালোবাসার মানুষ সেই শালিনী ফিরতেই নতুন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। রোহিত যে এখনও মনে মনে শালিনীকেই ভালোবাসে কিন্তু অন্যদিকে ফুলকির প্রতি ও তার দয়া মায়া মমতা রয়েছে। এরই মাঝে সে প্রত্যক্ষ করেছে ফুলকির শারীরিক সক্ষমতা। আর সে কারণেই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে ফুলকিকে বক্সিং শেখাবে।

রোহিত নিজেও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বক্সার ছিল। কিন্তু কোন একটি বিশেষ কারণের জন্য শেয়ার বক্সিং করে না। বলা যায় নিজের প্রাণপ্রিয় জিনিসটাকে সে সরিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে আবার শালিনীও কিন্তু বক্সার। আর এবার রোহিত ফুলকিকে বক্সিং রিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ রাতে শ্যুটিং থেকে ফেরার পথেই আচমকা ধাক্কা মারল বাইক! চালককে থাপ্পড় মারল ‘জগদ্ধাত্রী’ অঙ্কিতা! বাস্তবেও সাহসী সে

আর ওই বক্সিং রিংয়েই মুখোমুখি হয় রোহিতের প্রাক্তন এবং বর্তমান দুই স্ত্রী শালিনী এবং ফুলকি। রোহিত ফুলকিকে বলে এই বক্সিং রিংটা জীবনযুদ্ধের থেকে কম নয়। আর সেই বক্সিং রিংয়ে ঢুকলে শালিনী ফুলকিকে ঘুষিতে কুপোকাত করে দিয়ে বলে জীবনযুদ্ধের টিকে থাকতে গেলে মার খেতে হবে। যদিও শালিনীর সেই ঘুষি কাবু করতে পারেনি ফুলকিকে। সে উঠে দাঁড়িয়ে শালিনীকে পাল্টা ঘুষি মেরে বলে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে পাল্টা মার দিতেও হবে। তথাকথিত দুই সতীনের ঝামেলা নয়, বক্সিং রিংয়ে ধুমধাড়াক্কা ঘুষোঘুষি দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত দর্শকরা।‌

Ratna Adhikary