জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: ‘আমি বৈবাহিক ধ র্ষণের শিকার হচ্ছি’! পরাগের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শিমুল যেতেই স্বামী যাবে জেলে

বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় চ্যানেল জি বাংলায় এখন ধামাকাদার ধারাবাহিকের অপর নাম এখন কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । এই ধারাবাহিকটির গল্প এই মুহূর্তে জোর গতিতে ছুটে চলেছে। আর তার ফলে বিশেষভাবে দর্শকদের নজর কেড়েছে।

এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের গল্প, অভিনেতা অভিনেত্রীদের অসামান্য অভিনয়ের সৌজন্যে ভীষণ রকম ভাবে দর্শকগ্রাহ্য হয়ে উঠেছে। আর
দর্শকরা যে এই ধারাবাহিকটিকে যে ভীষণভাবে ভালবাসতে শুরু করেছেন তা প্রমাণিত হয়ে গেছে টিআরপি তালিকায়। এই টিআরপি তালিকাই প্রমাণ করে দেয় দর্শকের মনে কোন ধারাবাহিক কতটা জায়গা করে নিয়েছে।

আর শিমুলের জীবনের কষ্টকর গল্প যে দর্শকদের চোখে জল আনছে তা টিআরপি তালিকা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কারণ জমজমাট এই লড়াইয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকটি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে নিত্যদিন অত্যাচারিত হয়ে চলেছে শিমুল। শারীরিক, মানসিক অত্যাচারে জেরবার হয়ে উঠেছে শিমুল।

আসলে তার স্বামী পরাগ তাকে শুধুমাত্রই ভোগ্য পণ্য মনে করে। আসলে শা রীরিক সম্পর্ক ব্যতীত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে আর কোনও রকম সম্পর্ক থাকতে পারে তা বিশ্বাস‌ই করেনা পরাগ। তার বাবা যেরকম ভাবে তার মায়ের উপর অত্যাচার করেছে ঠিক সেইভাবেই পরাগ অত্যাচার করে চলেছে শিমুলের উপর। আর এবার এই অত্যাচারের বিরুদ্ধেই মুখ খুলল শিমুল।

নিত্যদিন নিজের স্বামীর কাছে অত্যাচারের শিকার হয়ে শিমুল পরাগের ঘরে যেতে ভয় পেতো। আর সেই জন্যই সে তার ননদের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিল। কিন্তু শাশুড়ির অনুরোধে সে ফেরে নিজের ঘরে। এরপর শিমুলের সঙ্গে জোর করে আবারও পরাগ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। এমনভাবে তাকে ঠেলে দেয় যে মাথা ফেটে গিয়ে তার গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে। কিন্তু নিজের কামনা চরিতার্থ করতেই ব্যস্ত পরাগ।

আর এই ঘটনার পর শিমুল সিদ্ধান্ত নেয় সে পরাগের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ চুপ করে বসে থাকবে না। সে এক বড় সিদ্ধান্ত নেয়। সে সিদ্ধান্ত নেয় পরাগের সামাজিক সম্মানহানি করবে। পরাগকে উচিত শিক্ষা দিতে এবার শিমুল দ্বারস্থ হয় পুলিশের। লাজ-লজ্জা, সমাজের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে, শিমুল পুলিশকে জানিয়ে দেয় সে নিজের স্বামীর কাছে বৈবাহিক ধ র্ষণের শিকার। প্রতি রাতের এই যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছে না। এরপর সে পুলিশকে অনুরোধ করে স্যার দয়া করে কিছু একটা ব্যবস্থা করুন। এবার কী হতে চলেছে পরাগের।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।