বর্তমানে ধারাবাহিকগুলো তাদের টিআরপির দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে। কারণ কম টিআরপিযুক্ত ধারাবাহিকগুলোকে চ্যানেল বন্ধ করে নতুন মেগা আনছে। জি বাংলা (Zee Bangla) ও স্টার জলসা (Star Jalsha) একে অপরকে টেক্কা দিতে নতুন নতুন সিরিয়াল এনেই চলেছে। গত এক মাসে বহু নতুন সিরিয়াল শুরু হয়েছে চ্যানেলে, পাশাপাশি পুরোনো সিরিয়ালের স্লট চেঞ্জ হয়েছে বা বন্ধ হয়েছে।
পুজোর পরও আসবে একের পর এক নতুন মেগা। তাই বর্তমান মেগাগুলো টিআরপি বাড়াতে একের পর এক ট্যুইস্ট আনছে গল্পে। আর এই ট্যুইস্ট আনতে গিয়েই বহু মেগা ট্রোলের শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি এক পর্বের জন্য জি বাংলার জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিকের লেখককে নিয়ে ট্রোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ধারাবাহিকের নাম ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)।
ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে রয়েছে পর্ণা (Parna)। পর্ণা তার কাজের দ্বারা বারংবার সাহসিকতার পরিচয় দেয়। ঘরের বউ হিসাবে সে যেমন একজন শ্রেষ্ঠ গৃহিনী, ঠিক তেমন একজন ভালো সাংবাদিক। বর্তমানে ধারাবাহিকে চলছে ধামাকাদার পর্ব। সৃজন ও পর্ণা হাঁটছে বিচ্ছেদের পথে। যদিও পর্ণা এই বিচ্ছেদ কখনও চায়নি। কিন্তু সৃজন (Srijan) পর্ণাকে ভুল বুঝে মায়ের কথায় পর্ণাকে ডিভোর্স দেবে বলে ঠিক করেছে।
পর্ণা নানান চেষ্টা করেও সেই ডিভোর্স আটকাতে পারেনি। শেষেমেষ পর্ণা সৃজনকে চেয়ে বসেছিল ১০ লক্ষ টাকা। পর্ণা ভেবেছিল সেই টাকা সৃজন দিতে পারবে না আর তাই ডিভোর্সটা হবে না। কিন্তু ঈশা পর্ণাকে তাড়ানোর জন্য সৃজনকে সেই টাকা জোগাড় করে দেয়। তারপর সৃজনের কথামতো পর্ণাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়। এরপরই পর্ণা এক ভালো উকিলের সাহায্য নেয়। পর্ণা তারপরও তার ডিভোর্স আটকানোর জন্য চেষ্টা করে চলেছে।
হাজার অপমানের পরও পর্ণা আবার সৃজনের বাড়ি ফিরে এলে সে হ্যালুসিনেশন হয়ে দেখতে পান নেতাজী ও রবীন্দ্রনাথকে। তাদের উপস্থিতি প্রমান করে যে পর্ণা এক সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সে এতো সহজে নিজের অধিকার ছেড়ে দেবে না। আর এই পর্ব দেখেই দর্শকরা নানান ট্রোল শুরু করে। অনেকেরই মন্তব্য, পর্ণা এই কাজটি করে নির্লজ্জের প্রমান দিয়েছে। আর এটাকে কোনোদিনই সমর্থন করেন না এই মহান পুরুষেরা। পর্ণার সাহসিকতার প্রতীক হিসাবে তাদের আগমন ঘটানো নিতান্তই হাস্যকর। লেখক টিআরপি বাড়াতে গল্পে আজগুবি কান্ড দেখাচ্ছে।