অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীর মুখেই শোনা যায় অভিনয় পেশা বড়ই অনিশ্চিত। আর্থিক নিশ্চয়তা একেবারেই নেই। আজ কাজ আছে কাল হয়ত থাকবে না। অর্থাৎ আজ ভালো সময় চলছে মানে এমনটা নয় যে ভবিষ্যতেও তেমনটাই হবে। হয়ত রাতারাতি খ্যাতির মঞ্চ থেকে রাস্তায় গিয়ে পড়তে হবে।
বলাই বাহুল্য, ভারতীয় বিনোদন দুনিয়ায় বহু অভিনেতা- অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেই এমনটা হতে দেখা গেছে। একটা সময় যারা ছিলেন নামী তারকা তাদেরকেই নেমে আসতে হয়েছে রাস্তায় ভিক্ষা করতে। সহ্য করতে হয়েছে খিদের দুঃসহ জ্বালা-যন্ত্রণা। দেখতে হয়েছে জীবনের সবথেকে চরম দিন সময়। কিন্তু একজন শিল্পীর এমন অবস্থা তো হওয়ার কথা ছিল না। খ্যাতি, সম্মান পাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু কোথা দিয়ে যেন কি হয়ে গেল!
আর আজ আমরা জানবো তেমনি এক অভিনেত্রীর কথা যিনি কাজের অভাবে এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরতে সরতে এখন একজন ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছেন। হয়ত বা তিনি আপনার খুব পরিচিত অভিনেত্রী নাও হতে পারেন কিন্তু শিল্পী তো! আমরা কথা বলবো জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিতালী শর্মার কথা। যিনি একজন ভোজপুরি অভিনেত্রী ছিলেন।
যারা ভোজপুরি সিনেমা দেখে থাকেন তাদের কাছে এই নামটা অবশ্যই শোনা শোনা লাগবে। এই অভিনেত্রী দিল্লি থেকে মুম্বাইতে এসেছিলেন অভিনেত্রী হওয়ার জন্য। বেশ কিছু ছোটখাটো ছবিতে কাজও করেন। প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। প্রথম একটা দুটো সিনেমা হিট করার পরই একের পর এক সিনেমা ফ্লপ হতে শুরু করে।
চেষ্টা করেছিলেন নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে ধরে রাখার। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মানসিক অবসাদ গ্রাস করে অভিনেত্রীকে। বেশ কয়েক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করার পরে যখন তার সব চেষ্টা বিফলে যায়, তখন তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে সরিয়ে যান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় জরাজীর্ণ পোশাকে বসে রয়েছেন একসময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। গ্ল্যামার, আলো থেকে শতযোজন দূরে ভাগ্যের পরিহাসে আজ তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাস্তায় রাস্তায়। তাকে এইরকম ভাবে ঘুরতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। যদি এখন অভিনেত্রী কেমন আছেন তা জানা যায়নি।