এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় যে ধারাবাহিকের রমরমা সেই ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে সবথেকে গ্রহণযোগ্য একটি ধারাবাহিক। বাঙালি দর্শক এই ধারাবাহিকটি দেখতে এই মুহূর্তে ভীষণ রকম ভাবে পছন্দ করছেন।
আর পছন্দ তো করারই কথা! কারণ বাস্তবসম্মত গল্প যে পছন্দ হবে সবারই। আর সেই কারণেই এই বাংলা ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে দর্শকদের হট ফেভারিট। বিশেষ করে গত সপ্তাহে টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি এখনও পর্যন্ত বাংলা টেলিভিশনের টিআরপি তালিকায় সিংহাসন দখল করে রয়েছে।
সম্পূর্ণভাবে নারী কেন্দ্রিক একটি ধারাবাহিক এটি। দর্শকরা এই ধারাবাহিকটিকে আরও পছন্দ করছেন কারণ নারীদের ঘিরে সমাজের এক বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। আর যা বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে বাঙালি দর্শকদের। বাঙালি দর্শকরা ভীষণ রকম ভাবে এই ধারাবাহিকটির সঙ্গে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন।
এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে আমরা দেখেছি শিমুলের স্বামী-দেওর শিমুলকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা শিমুলের সিদ্ধির গ্লাসে বি’ষ মিশিয়ে শিমুলকে চিরতরে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করার চেষ্টা করে। এই অপকর্ম যে পরাগ, পলাশ এবং প্রতীক্ষা মিলেই করেছে সেই কথা সবারই জানা। আর তাই শিমুলের পাড়ার বন্ধুরা শিমুলকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য তার স্বামী, দেওর এবং দেওরের হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
কিন্তু হঠাৎ করেই নিজের শ্বশুরবাড়িকে আড়াল করতে তৎপর হয়ে পড়ে শিমুল। নিজের স্বামী প্রতি তার হঠাৎ করে দরদ বেড়ে যায়। আর তাই যে তাকে বাঁচাতে উদ্যত হয়ে ওঠে শিমুল। দোষ নিয়ে নেয় নিজের ঘাড়ে। বলে সে নাকি নিজেই বিষ খেয়েছিল। আর এর ফলেই পার পেয়ে যায় পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা। শিমুলের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মেনে নিতে পারেনি তার পাড়ার বন্ধুরা।
যে শিমুলকে তারা এতটা ভালোবাসে, যে শিমুলের জন্য তারা সমস্ত রকম লড়াই লড়তে প্রস্তুত। যে শিমুলকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য তারা থানা পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিল তাদেরকে এইভাবে ঘুরিয়ে শিমুলের অপমান তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। শিমুল তাদের সঙ্গে এতটা স্বার্থপরতা করবে সেটা ভাবতেই পারিনি সুচরিতা, বিপাশারা। আর সেই জন্যই নিজেদের লক্ষ্মী পুজোর আয়োজনে শিমুলকে আর ডাকেনি তারা।
আসলে শিমুলের এই ব্যবহারে ভীষণ রকমই অপমানিত হয়েছে তারা। যে শিমুলের জন্য তারা লড়াই করতে গেল সেই শিমুলের ব্যবহারই এমন ছিল যেন তারাই দোষী। এদিকে আবার সেই পাড়ার লোকেদের দেওয়া টাকাতেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে শিমুল। যাদের টাকা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল তাদের বিরোধিতা করতে এতটুকুও বাঁধে নি শিমুলের। আর তাই বিপাশা, সুচরিতারা বলছে শিমুলের পারিবারিক বিষয়ে মাথা ঢুকিয়ে তারা যেন ভুলই করেছে। বিপাশা বলছে, ‘সাহায্য করতে গিয়ে আমরাই দোষী হয়ে গেলাম!’ আর তাই শিমুলের সঙ্গে ত্যাগ করল তার বন্ধুরা।