স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) ধারাবাহিকটি দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করতে সক্ষম হয়েছে এই সিরিয়াল। পাশাপাশি সিরিয়ালের মাধ্যমে যেভাবে একজন শ্যামবর্ণ মেয়ের জীবন সংগ্রামের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ছোটপর্দায় তা দারুণ পছন্দ হয়েছে বাংলা সিরিয়াল প্রেমী ও নেটিজেনদের।
এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে চলছে টানটান উত্তেজনা। পৃথা বারবারই অর্জুনের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিল দীপার ব্যাপারে। কিন্তু দীপা ফিরতে দেরি হয় তাই আগেই বেরিয়ে যায় সে। সবার মনেই খটকা লাগে। পৃথা ম্যাম কেন এতক্ষণ ধরে দীপার জন্য বসে ছিলেন। কী এমন গোপনীয় কথা। অপরদিকে, সূর্যের মনে প্রশ্ন জাগে। দীপা এত তাড়াতাড়ি কী করে অন্য একজনকে বিশ্বাস করছে? অর্জুনের সঙ্গে এত অল্প পরিচয়ে কী করে একা বেরিয়ে পড়ল দীপা।
এরপর খোকার সঙ্গে দেখা করে পৃথা। জানতে পারে, এই অর্জুনই তাঁর ছেলে। এতকিছুর পর সে যদি অর্জুনের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে অর্জুন তাঁকে মা বলে মেনে নেবে না। তবে আমায় অন্যভাবেই ভাবতে হবে। কী ভাবেই আমি অর্জুনকে ফিরে পাবো। একাকিত্ব ভরা জীবনে অর্জুনই একমাত্র সম্বল। তাই অন্য প্ল্যান ভাবে সে।
দীপাকে একদিন বাড়িতে ডেকে পৃথা বলে, অর্জুন আমারই ছেলে। আমি পরিস্থিতির স্বীকার হওয়ায় তিন ছেলেমেয়েকে ছেড়ে আমায় চলে যেতে হয়। আমার কাছে আর কেরিয়ায়, সাফল্যই সব ছিল। সব ছড়িয়ে গিয়েছিল। আজ আমি সফল। কিন্তু একাকিত্ব আমার জীবন গ্রাস করেছে। আমি চাই অর্জুন আমায় মা বলে মেনে নিক। আমার কাছে আবার ফিরে আসুক। তাই তোমার সাহায্য চাইছি।
দীপা জিজ্ঞেস করে, আমি এতে আপনার কিভাবে সাহায্য করতে পারি। পৃথা বলে, তুমি প্লিজ অর্জুনকে বোঝাও আমি ওকে কতটা ভালবাসি। কতটা মিস করি। একমাত্র তুমিই পারো অর্জুনকে সবটা বোঝাতে। কারণ ও তোমায় ভালবাসে ওর চোখের ভাষা আমি বুঝতে পেরেছি। ও যেভাবে তোমার পাশে আছে, কেউ কাউকে ভাল না বাসলে এমনটা অসম্ভব। আমি আমার সন্তানের মনের কথা বুঝি। তুমি এখন দুদিন এখানেই থাকবে। এতে অর্জুনের মনে প্রভাব বিস্তার করতে সুবিধা হবে।