জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ (Didi No. 1)। এই রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে গল্প বলতে শোনা যায় অংশগ্রহণকারীদের। এছাড়া থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে গিফট পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। দিদি নম্বর ওয়ান শুরুর পর থেকেই দর্শকদের প্রশ্ন ছিল, আদৌ কি এই সব সত্যি নাকি দিদি নম্বর ওয়ান পুরোটাই ভাঁওতা? সম্প্রতি এ নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় ইউটিউবার সুমন দে। দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চের আড়ালে কি হয় তা ফাঁস করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই জনপ্রিয় ইউটিউবার ঋত্বিক অধিকারীর সঙ্গে পডকাস্টে বসেছিলেন সুমন দে। এই পডকাস্ট এপিসোডে একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। এরমধ্যে ছিল দিদি নম্বর ওয়ানের শ্যুটিং এক্সপিরিয়েন্স থেকে বং গাই-য়ের রোস্ট ভিডিও। ঋত্বিক অধিকারীর প্রশ্নে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর শ্যুটিংয়ের ঘটনা শেয়ার করেছেন সুমন।
তিনি জানিয়েছেন, দিদি নম্বর ওয়ানের ভাইফোঁটা স্পেশাল এপিসোডের জন্য ডাক পড়ে সুমন ও তাঁর দিদির। অনেক ভোলে এপিসোডের রিহার্সালের জন্য জি বাংলার শ্যুটিং ফ্লোরে পৌছে যান তাঁরা। সেখানে যাওয়ার পর সুমন দে ও তার দাদার লাইফ স্টোরি শুনতে চাওয়া হয়। কিন্তু গল্প শুনে উত্তর আসে, “এত কম গল্পে হবে না আরও কিছু এক্সট্রা অ্যাড করতে হবে।”
এরপর তাঁদের লাইফ স্টোরির এদিক ওদিক চেঞ্জ করে রঙচঙে এলিমেন্ট অ্যাড করে তাকে আরও আকর্ষণীয় করা হয়। প্রয়োজনে তাঁদের গল্প এদিক ওদিক করা হয় বলেও খবর। সুমন দে জানান, তাঁর থেকে পুরো গল্পটা শোনা হয়। রিহার্সালেও বলতে বলা হয়। কিন্তু পরে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পার্ট গুলিকে কেটে টিভি পর্দায় দেখানো হয়। ঠিক যেন পুরোটাই স্ক্রিপ্টেড।
ইউটিউবার সুমন দে-এর এই পডকাস্ট এপিসোডে বর্তমানে লাখ লাখ ভিউ জোগাড় করেছে। দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে কিভাবে সাজানো গল্পে ইমোশন দেখানো হয়, তাও জানা গিয়েছে স্পষ্টভাবে। সুমন দে আরও জানান আগের থেকেই অনেক কিছু ইন্সট্রাকশন দেওয়া থাকে, বলা থাকে যে এটা করতে হবে বা ওটা করতে হবে। এপিসোডের জন্য চার সেট জামাও নিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁদের। ক্যামেরার শেডের সঙ্গে ম্যাচ করে জামা বেছে নেয় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। তবে সবমিলিয়ে দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে যাওয়ার অভিজ্ঞতা যে বেশ ভালো, ও সবটা তিনি এনজয় করেছেন এমনটাই জানান সুমন দে।