বছরের গোড়াতেই দুঃসংবাদ। প্রয়াত ভারতের জনপ্রিয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান (Rashid Khan)। গত কয়েক বছর ধরেই প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার শহরের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে বিকেল ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন শিল্পী। চিকিৎসা চলাকালে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় অবস্থার অবনতি। দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে ভেন্টিলেটর সাপোর্টও দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পীকে।কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রকে।
এদিন দুপুরে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীর খোঁজ নেন চিকিৎসকদের কাছ থেকে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। সংবাদমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”চিকিৎসকদের যদি কিছু বলার থাকে বলুন। তারপর আমি বলব। রাশিদের ছেলে রয়েছেন এখানে। ও ভাল গান করে।”
১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁ জেলায় জন্ম জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের। ছেলেবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন সঙ্গীত পরিবারে। রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী তিনি। তাঁর কাকা ছিলেন উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা। কাকার হাত ধরেই মুম্বাই আসা। আর কাকার কাছেই তালিম, গানের দুনিয়ায় হাতেখড়ি। তারপর গানের মাধ্যমে দেশজুড়ে পরিচিতি।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি গেয়েছেন আধুনিক গান। তাঁর ঝুলিতে ‘যব উই মেট’, ‘কিসনা’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘রাজ ৩’-র মতো বলিউড ছবির হিট গানও রয়েছেই। পাশাপাশি রয়েছে ‘মিতিন মাসি’, ‘বাপি বাড়ি যা’, ‘কাদম্বরী’-র মতো বাংলা ছবির গানও। গোটা জীবন গানকেই উৎসর্গ করেছেন তিনি। পেয়েছেন সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, বঙ্গবিভূষণ ইত্যাদি সম্মানও।