Tollywood

“সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ আসতেই অহংকার বেড়েছে সৌমীতৃষার..!” সহ অভিনেত্রীর কটাক্ষ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন দেব

সদ্য মুক্তি পেয়েছে দেব (Dev)সৌমীতৃষা (Soumitrisha Kundoo) অভিনীত ছবি ‘প্রধান’ (Pradhan)। ডিসেম্বরের বড় পর্দায় ‘প্রধান’ মুক্তির পাওয়ার পর থেকেই সাড়া ফেলেছে দর্শক মহলে। একদিকে যেমন ছবি নিয়ে দর্শকদের সাধুবাদ পাচ্ছেন সৌমীতৃষা তেমনই নানান বিতর্কের মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁকে। অনেকের মতে, “অহংকার বেড়েছে সৌমীতৃষা কুন্ডুর, আগের চেয়ে বদলে গেছেন তিনি।” কিন্তু সত্যিই কি তাই? এবার বিতর্কে মুখ খুললেন সৌমীতৃষার সহ অভিনেতা দেব।

ছোটপর্দায় অভিনয়ের মাধ্যমে সৌমীতৃষার অভিনয় জগতে আসা। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাইতে’ প্রধান চরিত্রে ছিলেন তিনি। সিরিয়ালের জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গেই সৌমিতৃষা হয়ে ওঠেন দর্শকদের আদরের ‘মিঠাই’। মিষ্টি, শান্ত স্বভাবের মেয়েটিকে পছন্দ করেন সবাই। মিঠাই শেষ হতে তাই মনখারাপ হয় অনুরাগীদের। যদিও সিরিয়াল শেষের পরই দর্শকদের জন্য নতুন চমক হাজির করেন মিঠাই রানি।

জানা যায়, আর ধারাবাহিক নয় এবার বড় পর্দায় পা রাখতে চলেছেন সৌমীতৃষা। তাঁর প্রথম ছবি ‘প্রধানে’ দেবের অভিনেত্রী হিসেবে দেখা যাবে তথাকথিত ‘মিঠাই’ কে। আর এই সময় থেকেই শুরু বিতর্ক। সিরিয়াল শেষ হতে না হতেই একেবারে দেবের অভিনেত্রী! কটাক্ষ ধেয়ে আসে সৌমীতৃষার দিকে। অনুরাগীদের অভিযোগ, সৌমীতৃষার অহংকার বেড়েছে। তিনি আর আগের মতো নেই। যদিও কোনো বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতেই কড়া উত্তর দেননি ‘প্রধান’ অভিনেত্রী।

সম্প্রতি সৌমীতৃষাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়ে অভিনেতা দেবকে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। প্রত্যুত্তরে দেব বলেন, তাঁর সাথে কখনও খারাপ ব্যবহার করেননি সৌমীতৃষা। দেব একজন মানুষকে সেই ভাবেই বিচার করেন যে তাঁর সঙ্গে যেমন ব্যবহার করবে। তাই দেবের বক্তব্য, সৌমিতৃষার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ আনছেন এই তাঁর ও সৌমীতৃষার মধ্যেকার ব্যাপার। এ নিয়ে দেব কিছু বলতে চান না। যদিও নিজের সহ অভিনেত্রীকে ‘ভালো মেয়ে’, ‘পরিশ্রমী’, ‘আগ্রহী’ ও ‘কর্মঠ’-র মুচলেকা দিয়েছেন দেব।

অন্যদিকে, মুক্তির পর থেকেই প্রেক্ষাপটে ছক্কা হাঁকাচ্ছে ‘প্রধান’। দলে দলে দর্শক ভিড় করছেন ছবি দেখতে। নিজের প্রথম ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সৌমীতৃষা ও। তিনি কোনো বিতর্কে কান দিতে রাজি নন। তাঁর লক্ষ্য আরও ভালো কাজ করা, আরও দর্শকদের মন জয় করা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।