জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ম’দ না খেয়েই মা’তা’ল! অভিনয়ের জন্য কুকুর হয়ে ঘেউ ঘেউ করতেও পিছপা হননি! চোখে ধাঁধা লাগানো অভিনয়ে দর্শকদের মন জিতেছিলেন কেষ্ট মুখার্জি

জীবনে ম’দ ছুঁয়েও দেখেননি কখনও। অথচ ম’দ্য’পে’র চরিত্রে চুটিয়ে দুর্দান্ত অভিনয়। কেষ্ট মুখার্জিকে (Keshto Mukherjee) পর্দায় দেখতে পেলেই হেসে লুটিয়ে পড়তেন তৎকালীন দর্শককুল। ১৯২৫ সালের ৭ই আগস্ট। অভিনেতার জন্ম কলকাতায়। নাটক থেকেই বড় পর্দায় পা বাড়ান।

খোদ ঋত্বিক ঘটকের খুঁজে বের করা অভিনেতা তিনি। যে লোকটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ‘ভাবা প্র্যাকটিস’ করতে বলেছেন, সে কি নিজের কালজয়ী ছবি ‘নাগরিক’-এর যতীনকে বাছতে এইটুকুও কম ভেবেছেন? এমনটা সম্ভবপর নয়।

তবে ঘটক বাবু যে কেষ্ট মুখার্জিকে নিয়ে সত্যিই ভেবেছিলেন তার প্রমাণ মিলেছে, কেষ্ট মুখার্জি অভিনয়ে। থিয়েটার দিয়েই অভিনয়ে হাতেখড়ি। তারপর যখন অভিনয়ই ধ্যানজ্ঞান, শুরু করলেন হিন্দি সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সারের কাজ। ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়ের ‘মুসাফির’ ছবিতে প্রথম ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হয়েছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: শিমুলকে আর ভালোবাসি না ওকে ভুলে গেছি! হবু বউকে দেখে শিমুলকে অস্বীকার শতদ্রুর! এ কেমন ভালোবাসা? ক্ষোভ নেটিজেনদের!

শোনা যায়, মুম্বাইতে যখন হন্যে হয়ে কাজ খুঁজছেন, তখন একবার বিমল রায়ের কাছে কাজ চাইতে গিয়েছিলেন কেষ্ট। অভিনেতাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে “কাজ নেই” বলে জানিয়ে দেন বিমল রায়। কিন্তু নাছোড়বান্দা কেষ্ট। জারিজুরি করে বিমলবাবু খানিক রেগে গিয়েই বলেন, “ছবিতে একটা কুকুর চাই। তুমি কি ঘেউ, ঘেউ করতে পারো?” পরিচালককে অবাক করেই সেখানে কুকুরের মত অবিকল ভাবে ডাকতে শুরু করেন কেষ্ট। আর তারপরই মেলে জ্যাকপট। বিমল রায়ের পরবর্তী ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান কেষ্ট মুখার্জি।

 

75741362 4158 421b b387 4d13319ec4ec

প্রসঙ্গত, পরিচালক ঋত্বিক ঘটক ‘নাগরিক’ ছবিতে অভিনয়ের প্রথম সুযোগ দেন। নাটক থেকেই বড় পর্দায় পা রেখেছিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা। এই ছবির শ্যুটিং হয়ে গিয়েছিল ১৯৫২ সালে। কিন্তু ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৭। ততদিনে পরিচালক আর অভিনেতা দুপক্ষই পরলোক গমন করেছেন। পরিচালক অতীশ সেনের ‘মমতা’ ছবিতে অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় কেষ্ট বাবুর। ওই চরিত্র এত ভাল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যে সারা জীবনের জন্য টাইপ কাস্ট হয়ে যান অভিনেতা।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।