“তুমি অন্য কারোর সঙ্গে বেঁধো ঘর…” মেঘ-নীলের জীবনে ঝড় ঝঞ্ঝার শেষ নেই। একে অপরের কাছে থেকেও লক্ষ মাইল দূরে তাঁদের মন। বিচ্ছেদ নামক শব্দটি ফাটল ধরিয়েছে তাঁদের সম্পর্কে। দিদি ময়ূরীর কুনজর থেকে মুক্তি নেই মেঘের। একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছে সে। এত কিছু পার করে মেঘ-নীল এক হবে? প্রশ্ন তুলছেন ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) অনুরাগীরা।
মেঘ ও নীলের বিচ্ছেদ হতে আর হাতে মাত্র ছয় মাস। তারপরই আইনতভাবে আলাদা হবেন তাঁরা।এদিকে, নীলের থেকে দূরত্ব তৈরি হলেও নতুন কাউকে মন দিতে পারেনি মেঘ। আবার, নীলও ঘর বাঁধেনি অন্য কারোর সঙ্গে। এখনও মনে মনে একে অপরকে ভালোবাসে তাঁরা। যদিও, তাঁরা জানে আর আর কিছু সময়ের মেয়াদ রয়েছে তাঁদের হাতে। নীল আগেই তাঁর মূল বুঝতে পারে। মেঘকে অবিশ্বাস করার যন্ত্রণা তাঁকে ক্রমাগত অস্থির করেছে।
তাই মেঘের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে নীল। চেয়েছে মেঘের বিপদে তাঁর পাশে এসে দাঁড়াতে। কিন্তু মেঘ দেয়নি সেই সুযোগ। ভালোবাসার বিনিময়ে পাওয়া অপমান তাঁকে ভুগিয়েছে। নতুন করে তাই নীলকে আর ক্ষমা করতে চায়না সে। আবার, নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতেও অনীহা তাঁর। ইতোমধ্যে নীল ঠিক করেছে দিল্লি চলে যাবে। শহর কলকাতা থেকে, মেঘের থেকে দূরে থাকবে সে।
অন্যদিকে, মেঘের মা বুঝতে পারছে মেঘ এখনও নীলকেই ভালোবাসে। সে তাঁর মনে অন্য পুরুষকে জায়গা দিতে চায়না। তাই ক্রমে সংসার বিমুখ হয়ে পড়ছে সে। যা মানতে নারাজ মেঘের মাও। মেঘের মা তাঁকে বলে, সংসার মেঘকে করতেই হবে। তা সে নীলের সঙ্গে হোক কি অন্য কেউ। এদিকে নীল ও মেঘের দূরত্ব এতটা গাঢ় হচ্ছে যে, দর্শক মহলের আশঙ্কা, এবার কি তবে নতুন কারোর সঙ্গে ঘর বাঁধবে মেঘ? ছয় মাস পর নীলের সঙ্গে ডিভোর্স হলে নতুন কারোর সঙ্গে নিজের জীবন সাজাবে সে?
আরো পড়ুন: অপরাধ করে বেশি পাকামো মারতে গিয়ে নিজের চালে নিজেই ফেঁসে গেল অ’স’ভ্য প্রতীক্ষা! কড়া শাস্তির দাবি দর্শকদের
এদিকে, ময়ূরীর মুখে নীলের দিল্লি যাওয়ার কথা শুনেও অস্থির হয়ে পড়ে মেঘ।দিল্লিগামী ট্রেনে নীলকে আটকাতে প্রাণপণে ছুটে যায় সে। নীলকে সে শহর ছাড়তে দেবে না। তাঁকে একা ফেলে নীল কিছুতেই যেতে পারে না! অন্যদিকে স্টেশনের ভিড়ে মেঘকেই খুঁজে চলেছে নীল। মেঘ কি পারবে নীলকে দিল্লি যাওয়া থেকে আটকাতে? নাকি নীলের দিল্লি যাওয়ার পর মেঘের জীবনে আসবে নতুন পুরুষ? আপাতত কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিতে পারছেন না ‘ইচ্ছে পুতুল’ অনুরাগীরা।