কার কাছে কই মনের কথা (Kar kachhe koi moner kotha) ধারাবাহিকের বর্তমান পর্বগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পরাগের বিয়ের দিন প্রতীক্ষা বি’ষ দিয়ে মা’র’তে চায় তাকে। আর সবার সামনে শিমুলকে দোষী সাব্যস্ত করে। প্রত্যেকে মেনে নিলেও বিপাশা, শীর্ষা, সুচরিতা, তুতুল ও পুতুল শিমুলের পক্ষেই কথা বলে। তারা কিছুতেই বিশ্বাস করে না যে, শিমুল এই ধরনের কোনও কাজ করতে পারে।
পরবর্তীকালে দেখা যায়, প্রতীক্ষা আর মধুবালা দেওয়া সাক্ষ্যের ওপর ভরসা করে, শিমুলকে জেলে নিয়ে যায় লোকাল পুলিশ। শিমুল জেলে থাকার সময়, তার সঙ্গে আরও যারা জেলে ছিল তারা শিমুলকে জিজ্ঞাসা করে সে পড়াশোনা জানে কিনা। উত্তরে সে বলে যে, সে পড়াশোনা জানে। তখন তারা বলে, জেলার যদি তাকে জিজ্ঞাসা করে সে পড়াশোনা জানে কিনা সে যেন ‘না’ বলে।
কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, যে সে যদি বলে যে সে পড়াশোনা যানে তাহলে, জেলার তাদের সবাইকে পড়াশোনা শেখানোর দায়ভার দেবে শিমুলকে। শিমুল তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে যে পড়াশোনা করা খারাপ নয়, কিন্তু তাতেও তারা এই কথাটা বুঝতে চায় না। উপরন্তু যখন তারা শোনে যে, শিমুল নাচ জানে তখন তারা শিমুলকে একটা নাচ দেখাতে বলে। আর তারা ইচ্ছা প্রকাশ করে, যে তারা সবাই শিমুলের কাছে নাচ শিখতে চায়।
অন্যদিকে, শিমুলকে ছাড়ানোর জন্য বিপাশা ও শীর্ষা টাকার ব্যবস্থা করতে থাকে। ঠিক সেই সময় বিপাশার বাড়িতে এসে হাজির হয় শতদ্রু। সে বলে সে একজন উকিলের খোঁজ পেয়েছে। যে খুব ভাল কেস লড়ে। কিন্তু তার ফিস একটু বেশি। তখন তাকে সুচরিতা জানায় যে, তাদের সামর্থ খুব কম। তাই তারা নিজেদের মতো করেই চেষ্টা করতে চায়। শতদ্রুর সাহায্য তাদের প্রয়জন নেই।
আরও পড়ুনঃ ‘সামনে ভাই বলে পরিচয় দেয় আর ভিতরে ভিতরে সবকিছুই চলে!’ রণজয়-মিশমীর সম্পর্ককে নিয়ে বড় রহস্য ফাঁস এই নায়িকার
সেই সময় শতদ্রু জানায়, সে শিমুলের জন্য কিছু একটা করতে চায়। সে এই ভাবে শিমুলকে কষ্ট পেতে দেখতে পারবে না। ঠিক তখনই বিপাশা তাকে বলে, আজ সে এসব বলছে কিন্তু তার বিয়ের পর যদি সে উকিলের খরচ না চালায়, তখন তারা কি করবে। এমন অবস্থায় শতদ্রু বলে সে এই কথা লিখে দিতে রাজি আছে। কিন্তু তারা যেন শতদ্রুর থেকে সাহায্য নেয়। সেই সময় শতদ্রু জানতে পারে যে, শিমুলের বাবার বাড়ির লোকেরাও তার জন্য টাকা খরচ করতে রাজি হয়নি। এই কথা শুনে বেশ খারাপ লাগে শতদ্রুর।
View this post on Instagram