পরাগ আর শিমুলের ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর কয়েকদিন আইনি সহযোগিতায় শিমুল ব্যানার্জী তার শ্বশুরবাড়িতে থাকার অনুমতি পায়। তবে তার আগেই শিমুলকে বাড়ি থেকে তাড়াতে ষড়যন্ত্র করে প্রতীক্ষা। পরাগের খাবারের বি’ষ মিশিয়ে দোষ দেয় শিমুলের উপর। যার জেরে এই মুহূর্তে শিমুল জেলে। তারপর কি হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে?
একদিকে, শিমুলের জামিনের জন্য তৎপর শতদ্রু, বিপাশারা। অন্যদিকে, শিমুল যাতে জেল থেকে ছাড়া না পায় সেই চেষ্টা করে চলেছে পরাগ, পলাশ আর প্রতীক্ষা। শিমুলের বিরোধী পক্ষের উকিল অনির্বান সেন। তার কাছেই এদিন উপস্থিত হয় পরাগ, পলাশ আর প্রতীক্ষা তিনজনে। অনির্বান বলেন, সেদিনের যা যা ঘটনা ঘটেছে তা যেন তাকে বিস্তারিত বলা হয়। কারণ ধুরন্ধর অনির্বানের সন্দেহ পরাগকে বিষ শিমুল নয়। অন্য কেউ দিয়েছে।
পরাগ বলে, শিমুলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে দুজনের কেউই সুখে থাকেননি। যখন দুজনেই দুজনের পথ আলাদা করার কথা ভাবছেন, তখন পরাগ জানতে পেরেছেন শিমুল তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করার কথা ভাবে। আর পরাগও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সম্পর্কে আসেন।
তাই পরাগ,পলাশ আর প্রতীক্ষাকে সরাসরি বলে তার সন্দেহ প্রতীক্ষাই পরাগকে বিষ দিয়েছে। কারণ বিয়ের দিন সকালে শিমুল চা বানালেও,পরাগকে চা দিতে এসেছিল অন্য কেউ। তাই এবার কেস আদালতে ওঠে। শিমুলের পক্ষের আইনজীবি আরাধনা।
আদালতে দুই উকিলের মধ্যে কথোপকথন নিয়ে জোরদার কোর্টরুম ড্রামা চলে। টান টান পর্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ধারাবাহিকের প্রেমীরা। শিমুলের আইনজীবি আরাধানা কি পারবে শিমুলকে নির্দোষ প্রমাণ করতে? উদাসীন শিমুলের তো কোনো ইচ্ছে নেই নিজেকে মুক্ত করার। কী হবে শিমুলের ভবিষ্যত?