জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলে (Icche Putul) শুরু হয়েছে বিয়ের পর্ব। নীল এবং মেঘ দুজনেরই বিয়ে ঠিক করেছে তাদের পরিবার। সেই সংবাদটি শুনে মন খারাপ দুজনেরই। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি অনিন্দ্য বাবু এবং মধুমিতা কথা বলছিলেন নীলের এই বাড়িতে আসা নিয়ে। নীলের সোজা মেঘের ঘরে চলে যাওয়ায় অসন্তুষ্ট তিনি। যদিও মধুমিতা তাকে বুঝিয়ে বলেন দুজনকে একটু সময় দিতে। তখনই নিচে চলে আসে মেঘ এবং মাকে জিজ্ঞাসা করে কেন তিনি নীলকে সোজা তার ঘরে পাঠিয়েছিলেন।
মধুমিতা বলে যে তিনি অত কিছু ভেবে এই কাজটি করেনি। তারা আগের বার কফি হাউসে দেখা করেছিল তাই তারা যাতে ভালোভাবে কথা বলতে পারে সেই জন্যই নীলকে ওপরে পাঠিয়ে ছিলেন। তারপর অনিন্দ্য বাবু তাকে খাওয়ার কথা বললে সে বলে তার ইচ্ছা নেই। তখন অনিন্দ্য বাবু বলেন তিনি তাকে বিয়ের জন্য জর করছেন না কিন্তু মধুমিতা বলে ওঠেন যে মেঘকে বিয়েটা করতেই হবে কারণ তিনি পাত্রপক্ষকে কথা দিয়েছেন। তখন মেঘ ময়ূরীর কথা জিজ্ঞাসা করলে মধুমিতা বলেন ময়ূরী বিয়ের দিন সকালে আসবে।
মেঘ তখন মধুমিতা জিজ্ঞাসা করে তাদের কি এটা মনে হচ্ছে যে সে এখনও নীলকে ভালোবাসে। তখন তার মা না তে সম্মতি জানিয়ে বলে সেটা সত্যি নয় তিনি জানেন। মেঘ আর নীলের পথ আলাদা হয়ে গেছে আর নীলও বিয়ে করছে তাই তিনি এখন সেই নিয়ে কিছু ভাবেন না। তখনই মধুমিতা অনিন্দ্য বাবুকে বলে বিয়ের কেনাকাটা করতে যাওয়ার কথা সেই কথা শুনে মেঘ বলে ওঠে সেও যাবে। মেঘ বলে আগেরবার বিয়ের শপিং করেনি সে তাই এইবার সেও যাবে। মধুমিতা বুঝতে পারে মেঘ কষ্ট পাচ্ছে, তিনি মনে মনে বলেন যে “আর কিছুদিন কষ্ট কর, তারপর সারা জীবন সুখে থাকবি।”
ওদিকে গিনিকে নীল তার ঘরে ডেকে মেঘের কার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে জিজ্ঞাসা করে। গিনি জানিয়ে দেয় সে জানে না। তখন নীল গিনিকে বলে খোঁজ নিতে তখন গিনি নীলকে বলে সে পারবে না আর নীলও তো তার হবু বউকে দেখতে চাইনা আর মেঘ আর তার জীবন এখন আলাদা হয়ে গেছে তাই এসব নিয়ে যেনও সে চিন্তা করে। নীল তখন গিনিকে চলে যেতে বলে। গিনি ভাবে “আর কিছুদিন পর তুই তোর ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে যাবি।” তারপর ঠাম্মি তাদের বিয়ের শপিংয়ে যেতে বলে। বেনারসী কি রঙের নেবে এটা সবাই ভাবছে তখন নীল বলে মেঘকে সাদা বেনারসীতে ভালো লাগে।
কিন্তু পরক্ষনেই সে কথাটা ঘুরিয়ে দেয় এবং সবাই চলে যায় শপিংয়ে। মলে ঢোকার সময় নীল দেখে মেঘ তার পরিবার সহ শপিং করতে এসেছে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের নীল কি মেঘকে বলতে পারবে তার মনের কথা।