টলিপাড়ার (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)। তিনি তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন কালার্স বাংলার এ আমার গুরুদক্ষিণা ধারাবাহিক থেকে। তবে তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয় জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। সিদ্ধার্থ মোদকের সঙ্গে মিঠাইয়ের খুনসুঁটি ভরা ভালোবাসা নজরকাড়ে দর্শকদের। তারপর পরই তিনি পা রাখেন দেবের সিনেমা প্রধানের মধ্যে দিয়ে।
প্রধান সিনেমায় দেবের স্ত্রী রোমি হিসেবে তার অভিনয় মন ছুঁয়ে যাচ্ছে দর্শকদের। অনেকেই জানিয়েছে দেব এবং সঙ্গে তার জুটি নাকি সুপার হিট। সেই প্রধান সিনেমার ৫০ দিন সফলভাবে সিনেমা হলে চলার জন্যই সম্প্রতি পার্টি রাখে প্রধানের প্রযোজনা সংস্থা। সেখানে সমস্ত কলাকুশলীদের সঙ্গে উপস্থিত সৌমীতৃষাও। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান নানান কথা।
সৌমীতৃষা জানান “আমার ছবি ৫০ দিন ধরে হলে চলছে সকলে দেখছে আমি দর্শকদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ ছবিটা দেখার জন্য আমায় ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।যারা দেখেননি গিয়ে দেখুন আর জানান।” তিনি দেখেছেন কিনা জিজ্ঞাসা করে তিনি বলেন “ফেব্রুয়ারিতে প্ল্যান ছিল কিন্তু পায়ের কারণে যেতে পারিনি। ১০ দিন পর আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছে দেখি তাড়াতাড়ি প্ল্যান করবো।”
প্রধানের জন্য পাওয়া প্রশংসাগুলির মধ্যেই তার সবচেয়ে প্রিয় প্রশংসার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন “অনেক ভালো প্রতিক্রিয়া এসেছে সকলের আর আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য সব আরও ভালোভাবে জানা যায়। যেমন একজন বলেছিলেন ওর জন্য দেখতে এসেছি যে ও কেমন করে বড় পর্দায় এত বড় অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে। সেটা শুনে খুব ভালো লেগেছে যে মানুষ আমায় ভরসা করেছে এটাই আমার কাছে পাওনা।সে তাদের মনে হয়েছে আমি ভালো কাজ করেছি।”
সরস্বতী পূজার প্ল্যান নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান “যেখানে নিমন্ত্রণ আছে যাবো, বাকি সময় পরিবারের সঙ্গে। আমার তেমন কোনও প্ল্যান থাকে না।” ছোটবেলার পুজো নিয়ে তিনি বলেন “সব বই দিয়ে রাখতাম মায়ের পায়ে বিশেষ করে অংক যাতে আরও ১-২ সপ্তাহ দেখতে না হয় আর শাড়ি পড়া, মা সাজিয়ে দিত।”
ভ্যালেন্টাইন্স ডের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান “না এখন অনেক ডাক্তার আসছে কিন্তু আমি আমার লক্ষ্যে স্থির থাকতে চাই, কাজ করতে চাই।” ছোট পর্দায় ফেরার কথা বললে তিনি জানান “মিঠাইকে মানুষ ভুলে যাবে এইরকম সময় আমি ফিরতে চাই, এখনও সেই সময় আসেনি। কারণ এখনও মানুষের মনে মিঠাই আছে তাই সেক্ষেত্রে নতুন কাজ করলে কেউ কাজেরও ক্ষতি আমারও ক্ষতি।”
জন্মদিন নিয়ে তিনি জানান “বাবা আমায় ফোন কিনে দিয়েছে তবে ফোনটা সাধারণ হয়ে গেছে গতবার সানগ্লাস দিয়েছিল এইবার দেখা যাক ব্যাগ বা কিছু। বাবার কাছেই সব আবদার।” “ভগবানের কাছে এটাই চাইবো আমায় আরও আধ্যাতিক করে দাও। প্রপোজের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন “না আমি রোমান্টিক নয় আমি লাজুক। আর না এখন সব ভালো লাগে না এখন খালি কাজের কথা ভাবি। এত ভেবে কি হবে শেষে তো সেই ব্রেক-আপ। আমি লং টাইম রিলেশনে বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতের কথা ভাবি এবং সেইভাবেই পিছিয়ে যাই। তার থেকে ভালো আমি কাজই করি।” সবার শেষে তিনি বলে “আমার কাজ দেখুন আমায় ভালোবাসুন। আর যারা ভালবাসেন না তারাও আমার কাজ দেখুন যদি কখনও ভালোবেসে ফেলেন।”