জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। প্রথম থেকেই শীর্ষে রয়েছে ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকের এই পর্বের দেখানো হয়েছে সাধুদা জগদ্ধাত্রীকে বকাবকি করছে কেসটা নিয়ে। জগদ্ধাত্রী সাধুদাকে তাকে আরও একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তিনি চলে যায়। জগদ্ধাত্রী টেবিলে তার বন্দুকটা রেখে বলে বন্দুকটা চেনেন আপনি।
তখন উৎপল বন্দুকটা নিয়ে বলে “সকলকে গুলি করে দেব। তখন তিনি বলেন আমায় তোমরা আবার জেলে পাঠাতে। আমি কিছু ইচ্ছা করে করিনি। আমি একজন মহিলাকে নিশানা করেছিলাম। আমি ওই বাচ্চা মেয়েটাকে গুলি করতে চাইনি।” জগদ্ধাত্রী তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। তাকে বলে “আমরা কেউ আপনাকে জেলে দেব না।” তখন উনি হটাৎ অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। জগদ্ধাত্রী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে।
উৎপলে নিয়ে যাওয়ার পর সাধু দা জ্যাসের বুদ্ধির প্রশংসা করতে শুরু করেন। তিনি এও বলেন “তুমি যেভাবে সবটা করেছে সত্যিই তোমার যত প্রশংসা করব ততই কম।” তখনই জগদ্ধাত্রীর ফোন একটা ফোন আসে। জগদ্ধাত্রী চমকে ওঠে। জগদ্ধাত্রী বলে স্বয়ম্ভু ঠিক আছে তো। সেই কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যায় জগদ্ধাত্রী। তাকে এইভাবে বেরিয়ে যেতে দেখে সাধুদা চিন্তায় পড়ে যায়।
নির্ধারিত স্থানে গিয়ে জগদ্ধাত্রী দেখে ঘরটা পুরো অন্ধকার করা। সেটা দেখে চিন্তায় পরে জগদ্ধাত্রী। স্বয়ম্ভুকে নাম ধরে ডাকতে থাকে সে আর হাতে নিয়ে নেয় বন্দুক। তখনই স্বয়ম্ভু বলে ভালোবাসার দিনে বন্দুকদের কোনও দরকার নেই। সেই কথা শুনে রেগে যায় জগদ্ধাত্রী। রেগে বিয়ে সে স্বয়ম্ভুকে বলে কেন তাকে এইভাবে চিন্তা দিয়ে ডাকা হয়েছে। তখন স্বয়ম্ভু তাকে জিজ্ঞাসা করে সে তাকে ভালোবাসে কিনা।
জগদ্ধাত্রী আর কিছু বলতে পারেনা তখনই জগদ্ধাত্রীকে ফোন করে কৌশিকী মুখার্জী। তিনি বলে যেহেতু তারা দুজনেই সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকে তাই তিনি সব আয়োজন করেছেন। সেই শুনে কৌশিকীকে আর কিছু বলেনা জগদ্ধাত্রী। কৌশিকীও ফোন রেখে মনে মনে বলে “তুমি আমায় আর জগদ্ধাত্রীকে মারার চেষ্টা করেছে। লোভের বসে তুমি নিজের পরিবারকেও ছাড়লে না। তোমায় শাস্তি পেতে হবে। শুধু খারাপ লাগছে কাকুমনির কথা ভেবে। তিনি যখন জানতে পারবেন তখন কি হবে।” তবে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি খেলা শেষ হবে বৈদেহী মুখার্জীর? বলবে সময়।