জি বাংলা ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল চলছে বিয়ের মহাপর্ব। অবশেষে ঠাম্মির বুদ্ধিতেই হচ্ছে তাদের বিয়ে। তবে ময়ূরীর সন্দেহ জেগেছে মনে। মধুমিতা আর অনিন্দ্য বাবু তাকে শত চেষ্টা করেও থামাতে পারছে না। ওদিকে নীলের কথা ভেবে ভেবে কষ্ট পাচ্ছে মেঘ। নীলেরও অবস্থা একই। পরিবারের খুশির জন্যেই তারা রাজি হয়েছে বিয়েতে। ওদিকে রূপ ছদ্মবেশে এসেছে নীলের বাড়ি। সবসময় নজর রাখছে নীলের ওপর।
ময়ূরী আর রূপ দুজনেই চায় মেঘের সর্বনাশ। গায়ে হলুদের দিন গিনি আর জিষ্ণুকে বাড়িতে দেখেই সন্দেহ যাবে ময়ুরীর মনে। সে ভেবে নে কিছুতেই সে মেঘকে খুশি থাকতে দেবে না। বিয়ের দিন মেঘের পরিবারের সকলেই পৌঁছে যায় লজে। নীলের পরিবার আসতে দেরি করে। তারপর নীল আসলে একজন অন্য মহিলা নীলকে বরণ করে নেয় যা দেখে কষ্ট পায় মধুমিতা। ওদিকে জিষ্ণুকে দেখে দেরি হওয়ার জন্য রাগারাগি করে মেঘ।
জিজ্ঞাসা করে নীলের বিয়ে হয়ে গেছে নাকি? আর নেকলেস আনার অছিলায় ময়ূরীকে বাইরে পাঠিয়ে দেয় মধুমিতা। ময়ূরী চলে যায় রূপের সঙ্গে দেখা করতে। রূপ তাকে একটি ব’ন্দু’ক দেয়। সেটা দেখে ময়ূরী তাকে বলে তাকে বন্দুক ধরা শেখাতে। ময়ূরী তখন রূপ বলে যে মেঘকে একা ডেকে এনে তার ওপর গু’লি চালাতে। সকলের ভিড় হয়ে গেছে সুযোগ বুঝে তার কাছে ব’ন্দু’ক দিয়ে দিতে। সেই শুনে খুশি হয়ে যায় ময়ূরী।
ওদিকে শুরু হয় বিয়ে কিন্তু নীলকে বর বেশে দেখে তাকে প্রথমে ভুল বোঝে মেঘ। বিয়েও ভেঙে দিতে চায় তখন গিনি তাকে সব সত্যি বলে। যে নীল কিছুই জানাতো না, সব পরিকল্পনা ঠাম্মির তখন তার রাগ কিছুটা কমে। তারপর পরিবারের সকলেই আনন্দের সঙ্গে বিয়ে দিতে থাকা মেঘ এবং নীলের। সেইসময় চলে আসে ময়ূরী। মেঘকে নীলের সঙ্গে বিয়ে করতে দেখে রেগে যায় ময়ূরী। তার মাথায় শুধু চলতে থাকে কি করে সে মেঘকে সরবে তার আর নীলের জীবন থেকে।
তারপর সে চিৎকার করে মেঘকে ডাকে। আর ব’ন্দু’ক বার করে আর গু’লি চালিয়ে দেয় মেঘের ওপর। সকলেই সবটা দেখে অবাক হয়ে যায়। তবে কি নীলের ভালোবাসা জুটবে না মেঘের কপালে? বিয়ের দিনই কি শেষ হয়ে যাবে মেঘের জীবন? জানা যাবে আগত পর্বে।