জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফুলকি’।গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই টিআরপি তালিকায় নজর কাড়ছে এই ধারাবাহিক। রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে প্রথম পাঁচের জায়গাও ছিনিয়ে নেয় এই ধারাবাহিক। মূলত বক্সিংকে কেন্দ্র করে এই ‘ফুলকির’ গল্পটি শুরু হয়েছিল। গল্পের নায়ক রোহিত ছিল একসময় দাপুটে বক্সার। অন্যদিকে ফুলকি উঠতি বক্সার। রোহিত নিজে হাতে ফুলকিকে তাঁর স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে চলে।
ঘটনাচক্রে ফুলকি ও রোহিতের বিয়ে হলে ফুলকি প্রথম থেকেই তাঁর ‘স্যার’-কে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু রোহিতের চোখে ফুলকি চিরকালই তাঁর ছাত্রী। জুটির জীবনে ভালোবাসার ফুলকি জ্বলে ওঠার আগেই গল্পে ফিরে আসে রোহিতের প্রাক্তন স্ত্রী শালিনী। এরপরই শালিনীকে নিয়ে ফুলকি আর রোহিতের মধ্যে অশান্তির শুরু হয়।
এরমধ্যে শুরু হয়েছে ভ্যালেন্টাইন্স উইক। প্রেমের সপ্তাহে ফুলকি ও রোহিতের জীবনে কাঁটা হয়ে ফুটে থাকে শালিনী। সে চায় আবারও রোহিতকে বিয়ে করতে। এদিকে, ফুলকির প্রতি ক্রমে দুর্বল হচ্ছে রোহিত। নতুন করে শালিনীকে জীবনে ফিরিয়ে আনতে রাজি নয় ফুলকির স্যার। তবে শালিনীও হাল ছাড়ার পাত্রী নয়। রোহিতকে সে বিয়ে করবেই বলে মনোস্থির করেছে।
এদিকে ফুলকিও চাইছে রোহিতের জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে। কারণ তাঁর মনে হয় রোহিত আর শালিনী অনেকটা ভালো থাকবে সে তাঁদের মাঝে না থাকলে। আর তাই ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র স্পেশাল পার্টিতে মনখারাপ করে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে ফুলকি।
শালিনী রোহিতকে বলে তাঁদের বিয়ের ঘোষণা সবার সামনে করতে। এসব শুনে আরও ভেঙে পড়ে ফুলকি। ফুলকির মুখ দেখে রোহিত বুঝতে পারে মনে মনে ভেঙে পড়েছে ফুলকি। তাই যখন চলে যেতে চায় তখন সে আটকে দেয় তাঁকে। যা দেখে হতভম্ব হয়ে যায় সবাই।