জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) অয়ন এবং মৌমিতার সমস্ত সত্যি পর্ণা সকলকে বলে দেওয়ার পর অখিলেশ দত্ত বার করে দেয় তাদের। কিন্তু ছেলের শোকে অসুস্থ করে পরে জেঠি। ওদিকে পর্ণা খোঁজ নিয়ে শুরু করে কথায় গেল মৌমিতা আর অয়ন একজন দোকানি তাদের বলে কিছুক্ষন আগেই একজনের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে তাদের কিন্তু তারপর তারা কোথায় গেছে উনি দেখেননি। তখনই সন্দেহ হিয় পর্ণার।
পর্ণা সময় নস্ট না করে ফোন করে রঞ্জনা ম্যাডামকে। তিনি ফোন ধরলে পর্ণা তাকে বলেন “ম্যাডাম আমার আপনার একটা সাহায্য লাগবে আপনি কি একটু বলতে পারবেন হেদুয়া থেকে কোনও ভিখারী মিসিং হয়েছে কিনা।” তখন তিনি সুস্মিতাকে বলেন দেখতে। তখন সুস্মিতা দেখে জানায় হ্যাঁ হেদুয়া থেকে দুজন মিসিং হয়েছে। রঞ্জনাও সেই সংবাদ দেয় পর্ণাকে। সেটা শুনে ফোন রেখে দেওয়ায় পর পর্ণা সৃজনকে বলে হ্যাঁ এখান থেকেও ভিখারী হারয়েছে তখন পর্ণা বলে নিশ্চয়ই দাদা আর দিদির কোনও ক্ষতি হয়েছে।
সে কথা ভেবেই কাঁদতে থাকে পর্ণা কিন্তু সৃজন তাকে আশ্বস্ত করে বলে সে যদি সকলকে কথাটা না বলত তাহলে সৃজন নিজেই বলে দিত। তারা ভুল করেছে আর শাস্তিও পাবে। তাই পর্ণা যেন ধৈর্য্য না হারায়। ওদিকে জ্ঞান ফিরে আসে অয়ন এবং মৌমিতার। নিজেদের একটা অন্ধকার ঘরে নিজেকে আবিষ্কার করে চিৎকার করতে থাকে অয়ন। তখন ভগা আর তিরু গুন্ডা চলে আসে সেখানে। তাদের বলে এখানে থেকে তাদের বস সকলকে নানা জায়গায় পাঠিয়ে দেবে মন্দিরে যাতে তারা বেশ ভিক্ষা করতে পারে।
প্রয়োজনে তাদের হাত পা ভেঙে বা চোখ নষ্ট করে দেওয়া হবে যাতে তারা বেশি ভিক্ষা পায়। সেই শুনেই রেগে যায় অয়ন কিন্তু প্রতিবাদ করার আগেই তাকে খুব মারে তিরু গুন্ডা। আর জোর করে তাদের ছবি তুলে তাদের বসকে পাঠালে তিনি বলে আরও ভিখারী লাগবে। এদিকে পর্ণারা গিয়ে পুলিশে কমপ্লেন করে। তারপর পর্ণা, সৃজন, চয়ন, অনুভব সকলে মিলে একটা ম্যাপ টানিয়ে ভাবতে থাকে কি করা যায়। পর্ণা বলে এরা উত্তরে দিকেই এসব কাজ করছে কিন্তু দক্ষিণে বেশি সিসিটিভি থাকায় এরা কিছু করেনি।
তখন চয়ন সিসিটিভি ফুটেজ আনার কথা বলে ওদিকে অয়ন পালাতে গেলে তার মাথায় মেরে অজ্ঞান করে দেয় গুন্ডারা। তখন মৌমিতা তাকে ডাকতে থাকে আর ভাবে পর্ণা ক্ষতি না করতে গেলে এইসব হত না। এদিকে জেঠির জন্য খাওয়ার নিয়ে আসে জেঠু এবং তাকে খেতে বলে। তিনি বলেন ছেলে মেয়ে খারাপ হলে দোষ হয় বাবা মায়ের তাই তিনি তাদের শাস্তি দিয়েছেন তবে তিনি বিশ্বাস করেন পর্ণা তাদের খুঁজে আনবে। সেই কথাকে সমর্থন করে বর্ষা।
ওদিকে সিসিটিভি ভিডিও বের করে আনার পর সেটা দেখে পর্ণারা বুঝতে পারে ভগাই আছে এই কাজের পিছনে। তখন তাকে খোঁজার কথা ভাবতে থাকে পর্ণা আর তখনই জিনিয়ার বাড়ি থেকে ফোন আসলে অনুভব তাকে নিয়ে চলে যায় বাড়িতে। তাহলে আপনাদের কি মনে হয় পর্ণা কি পারবে মৌমিতা আর অয়নকে বাঁচাতে?