জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। বর্তমানে ধারাবাহিকে একের পর এক চমকের জন্য ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় বেশ কিছুসময় ধরেই নিজেদের শীর্ষস্থান কায়ম রাখতে সক্ষম হয়েছে। কৌশিকী মুখার্জীকে হত্যার চেষ্টায় গ্রেফতার হয় উৎসব মুখার্জী। ছেলের চিন্তায় শোকাহত বৈদেহি মুখার্জী নিজে। সকলভাবে চেষ্টা করছে উৎসবকে ছাড়ানোর।
ওদিকে জগদ্ধাত্রীও চলে এসেছে অনিন্দিতা সরকারের বাড়ি থেকে। সেখান থেকে আসেই সাঁধুদাকে জ্যাস বলে অনিন্দিতা সরকারের ওপর নজর রাখতে হবে। সাধুদা তার কারণ জানতে চাইলে জ্যাস বলে কিছু একটা ব্যাপার আসে মা পাখি তার বাচ্চা পাখিকে ডানা দিয়ে আটকে রাখতে চাইছে। এদিকে মুখার্জী বাড়িতে রাজনাথ মুখার্জীকে দেখে তার কাছে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় বৈদেহি মুখার্জী। তিনি বলেন যে করে হোক উৎসবকে ছড়িয়ে আনতে।
কিন্তু রাজনাথ তাকে ধমক দিয়ে বলে সবটা তার জন্যই হয়েছে যদি ছেলেকে তিনি ছোট থেকে শাসন করতেন যখন সে স্কুলে মারামারি করতো তাহলে আজ সেইদিন দেখতে হত না। তখন বৈদেহি বলেন তিনি ভুল করেছেন এখন টা ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে। রাজনাথ তখন বলেন তিনি চেষ্টা করবেন। তখনই সেখানে চলে আসে কৌশিকী। তাকে দেখে বৈদেহি বলেন উৎসবকে একমাত্র সেই বাঁচাতে পারবে। কিন্তু তাকে বারণ করে দেয় কৌশিকী। সে বলে উৎসব অপরাধ করেছে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে এমনকি তার মেয়েকেও ছাড়েনি।
আরও পড়ুন- মনের কথায় ধামাকা! উত্তেজিত হয়ে পরাগের সত্যিটা বলে ফেলল শিমুল! তবে কি বিয়ে হবে পুতুলের?
আর বৈদেহি মুখার্জী ঊর্মিলা মিত্রের দাদা উপল মিত্রের অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে তার ক্ষতির চেষ্টা করেছে। সেই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় রাজনাথ। তিনি বলেন “তুমি ঊর্মিলাকে চিনতে?” কিন্তু তার উত্তরে তিনি বলেন তিনি আগে অতসব জানতেন না তখনই। কৌশিকী বলে আজ উৎসবের কোর্টে ওঠার দিন ও ওর পাপের শাস্তি পাবে, এই বলে চলে যায় কৌশিকী মুখার্জী। ওদিকে উৎসবকে কোর্টে দেখে কান্নাকাটি করতে থাকে বৈদেহি। কিন্তু তাকে সরিয়ে দেয় জ্যাস। তখন তিনি তাকে উৎসবকে ছাড়ানোর কথা বলেন কিন্তু তাকে পরিষ্কার বারণ করে দেয় সে।
উৎসব তাকে ধমকি দেয় সে তাকে প্রাণে বাঁচতে দেবে না। তারপর উৎসবকে নিয়ে গেলে জগদ্ধাত্রী দেখে অনিন্দিতা সরকারকে, তার সঙ্গে রয়েছে তার দাদা। কি কেসে তিনি এসেছেন জানিতে চাইলে পুলিশ বলে খুনের মামলা। কিন্তু সেই বিষয়ে কিছু না বলেই চলে যায় অনিন্দিতা। তখন জগদ্ধাত্রী তার বাড়িতে ফোন করে তার মেয়েকে বলে সে যাবে তার সঙ্গে দেখা করতে। তারপর উৎসব জেল থেকে বেরিয়ে এলে তাকে মিডিয়া ঘিরে ধরে। তখন সে ভাবতে থাকে স্বয়ম্ভু কেন তাকে বাঁচালো না। ১৪দিনের জেল হয় উৎসবের। তাহলে কি রহস্য রয়েছে অনিন্দিতার?